ক্রেতা শূন্য গাবতলী পশুরহাট


প্রকাশিত: ০২:৩১ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঈদুল আযহা আসন্ন। কোরবানীর এ ঈদকে সামনে রেখে রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে যথেষ্ট গরু সরবরাহ থাকলেও সেই তুলনায় ক্রেতার দেখা মিলছে না। তাই অপেক্ষাতেই কাটছে বিক্রেতাদের সময়। তবে বিক্রেতাদের দাবি আসছে শুক্রবারের মধ্যেই জমে উঠবে পশুর হাট।

শুক্রবার গাবতলী পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাকে করে নিয়ে আসা পশু নামানো হচ্ছে হাটে। বেশি গরু আসছে কুষ্টিয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, মেহেরপুর, সিরাজগঞ্জ, কুমিল্লার দাউদকান্দি ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর থেকে।
গাবতলীর পশুর হাটে ১৫টি দেশীয় শংকর জাতের গরু নিয়ে এসেছেন কুষ্টিয়ার সৈরুদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী। নিজের খামারে পালিত এসব গরুর দাম নিয়ে বেশ আশাবাদী তিনি।

তিনি জাগো নিউজকে বলেন, গাবতলী পশুর হাটে গত ১৫ বছর ধরে গরু নিয়ে আসি। এবারের আনা গরুর মধ্যে দুই লাখ ২০ হাজার টাকাও গরু এনেছেন তিনি। তার দাবি, এবার ভারত থেকে তুলনায় কম গরু আসছে। সে কারণে দেশী গরুর দাম এবার বেশি হবে।  

কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে আসা ব্যবসায়ী রাজ্জাক জাগো নিউজকে বলেন, এখন হাটে কোরবানির ক্রেতা নেই। আছে কসাই ও ঝুট-ব্যবসায়ীদের আনাগোনা।

মেহেরপুরের ব্যবসায়ী আলী আশরাফ বলছেন, দুই দিন হয়েছে দশটি গরু নিয়ে এ হাটে এসেছি। ভেবেছিলাম কোরবানির হাটে ভারতীয় ও মায়ানমারের গরু কম হবে। তাই ব্যবসাও ভালো হবে এবার। কিন্তু ভারতীয় গরুর সংখ্যাই বেশি হাটে। এরমধ্যে আবার ভালো ক্রেতার দেখা না পাওয়ায় হতাশ তিনি।

Cow-Hat

কুষ্টিয়া থেকে আসা আরেক ব্যাপারি শফিক মোল্লা। তার দাবি, তার প্রতিটি গরুর মাংস হবে চার মণ। দামও হাঁকাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার। তবে টানা দুই দিন রোদের মধ্যে গরু নিয়ে অপেক্ষা করলেও ক্রেতার দেখা মেলে নি।
 
অবশ্য ভিন্ন মত দিয়েছেন গাবতলী গবাদী পশু ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কোষাধক্ষ্য মো. আলী আকবর। তিনি জাগো নিউজকে জানান, দামে না মেলা ও বেশি লাভের আশায় গরু ছাড়ছে না বিক্রেতরা।

এদিকে, গাবতলী পশুরহাটে এবার বিপুল পরিমাণ মহিষ লক্ষ্য করা গেছে। ৯০ শতাংশ মহিষের গায়েই লেখা ও সিল মারা।
 
দিনাজপুরের ব্যাপারী আলী আক্কাস বলেন, যেসব মহিষের গায়ে নাম্বার ও সীল মারা দেখছেন এসবই ভারত থেকে আনা। ট্যাক্স দিয়েই মহিষ আমদানি করা হয়েছে। তবে দাম দরের ক্রেতা এখনো আসে নি বলে বিক্রিও হয়নি।

জেইউ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।