মুজিব বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ১০ জুলাই ২০১৯

‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হতে পারে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য প্রাথমিকভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নির্বাচন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের স্থান নির্ধারণী সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভা শেষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ পর্যন্ত সময়টাকে সরকার মুজিব বর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে।

Mujibborsho

‘মুজিব বর্ষ’ উদযাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সর্বোত্তম স্থান উল্লেখ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, এখানেই জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধিতে ভূষিত করা হয়। বিশ্ব ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পিছনের সবচেয়ে প্রেরণাদায়ী ৭ মার্চের ভাষণটিও তিনি এই উদ্যানেই দিয়েছিলেন। আবার আমাদের প্রিয় বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের প্রধান ঘটনা ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের স্থানটিও ঐতিহাসিক এই উদ্যান।

দীর্ঘকাল পাকিস্তানের কারাগারে আটক থাকার পর ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি এ উদ্যানেই স্বাধীন বাংলাদেশের জাতির পিতা ঐতিহাসিক ভাষণ দেন। এই উদ্যানেই ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ভারতীয় বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছিলেন। বাঙালি, বাংলাদেশ ও জাতির পিতা সবার কাছেই এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানই সবচেয়ে ইতিহাস ঘনিষ্ঠ।

মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের স্থান নির্ধারণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজকের সভার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম প্রস্তাব করা হবে। বিকল্প হিসেবে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা এবং আবহাওয়া বৈরী হলে তৃতীয় বিকল্প হিসেবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র বা অন্য কোনো উপযুক্ত স্থানের নাম প্রস্তাব করা হবে।

Mujibborsho

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, উদ্বোধন অনুষ্ঠানের স্থান হিসেবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নাম চূড়ান্ত হলে এটিকে যথাযথভাবে প্রস্তুত করা হবে। ২০২০ সালের ১৭ মার্চের পূর্বে এখানের সব উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হবে। কোনো উন্নয়নকাজ অবশিষ্ট থাকলে তা স্থগিত করে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য স্থানটিকে উপযুক্ত করা হবে। বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ আমন্ত্রিত অতিথিসহ অন্য অতিথিদের নিরাপত্তাসহ বসার আসনের ব্যবস্থা করা হবে। এ উপলক্ষে নির্মিত বিশেষ মঞ্চে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সুবিধা রাখা হবে।

এ সময় সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালেদ, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এসএম আরিফুর রহমান, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকারসহ বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে গঠিত জাতীয় ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরএমএম/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।