দেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৯ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ
দেশে ২০০৮ সালে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৬০ লাখ। তা বেড়ে ২০১৯ সালে হয়েছে ৯ কোটি ৪৪ লাখ। অর্থাৎ গত ১০ বছরে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ৮ কোটি ৮৬ লাখ। একই সঙ্গে ইন্টারনেটের দাম কমানো হয়েছে। ২০০৮ সালে প্রতি এমবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ চার্জ ২৭ হাজার টাকা ছিল। তা হ্রাস করে বর্তমানে সর্বনিন্ম ১৮০ টাকায় আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার সংসদে প্রশ্নোত্তরে এম. আবদুল লতিফের (চট্টগ্রাম-১১) প্রশ্নের জবাবে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ তথ্য জানান।
ইন্টারনেটের গ্রাহক বৃদ্ধির পাশাপাশি দাম কমানের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে ইন্টারনেটের দাম কমেনি, এ তথ্য সঠিক নয়। বরং দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেটের দামও উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনা হয়েছে।
২০২০ সালের মধ্যে সরকারি সব অফিসে ‘ই-নথি’ চালু হবে : পলক
ময়মনসিংহ-৮ আসনের সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকারি সব অফিসে ২০২০ সালের মধ্যে ই-নথি সিস্টেম চালু করা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন ও সরকারি অফিসে কাজের গতিশীলতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধি এবং স্বল্প সময়ে নাগরিকদের বেশি সেবা প্রদানে ২০১৬ সালে ‘ই-নথি’ ব্যবস্থা চালু হয়। মন্ত্রণালয়/বিভাগে ‘ই-নথি’ চালুর পাশাপাশি অধস্থন অফিসগুলো ‘ই-নথি’র আওতায় নিয়ে আসার কাজ চলমান।
তিনি বলেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ১৯ হাজার সরকারি অফিস ‘ই-নথি’ আওতায় আনা হবে। বর্তমানে সরকারি অফিসের মধ্যে ৫ হাজার ২১৫টি অফিসে ‘ই-নথি’ পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ’ই-নথি’ ব্যবহার ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনি অসংখ্য সরকারি কর্মকর্তা ‘ই-নথি’ তে রেজিস্ট্রেশন করছেন, নিয়মিত লগ-ইনও করছেন বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, নথি সিস্টেম ব্যবহারের ক্ষেত্রে অফিসগুলোকে প্রস্তুত করে সিস্টেমটি মন্ত্রণালয়/বিভাগে চালু করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী ২০২০ সালের মধ্যে সরকারি সকল অফিসে এই সিস্টেম চালু করা হবে।
এইচএস/জেডএ/জেআইএম