জনগণকে সচেতন করে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্ভব
জনগণকে সচেতন করে আত্মহত্যা প্রতিরোধ সম্ভব আর যারা আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছেন তাদের সনাক্ত এবং যথোপোযুক্ত কার্যক্রমের মাধ্যমেই এই ঝুঁকি থেকে তাদের মুক্ত করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাইক্রেটিকের সাধারণ সম্পাদক ওয়াজেদ আলম চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ব্রাইটার টুমোরো আয়োজিত বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা জানান। বাংলাদেশে প্রতি ১০০ জনে ১০ জন আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় জানিয়ে তিনি বলেন, সাধারণ জনগণকে সচেতন করে ৯০শতাংশ আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
বাংলাদেশে আত্মহত্যাকারীদের বেশির ভাগই ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সী জানিয়ে, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, এখানে ৬৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যার ঝুঁকিতে আছেন। বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ২৮ জন আত্মহত্যা করে।
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউটের অধ্যাপক ডা. ফারুক আলম বলেন, নারী এবং কম বয়সী মেয়েদের মধ্যে আত্মহত্যর প্রবণতা বেশি। বক্তারা বলেন, ২০১৩ সালে বিষপান আর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যার সংখ্যা ১০২৯টি। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে বিশ্বে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর সর্বোচ্চ কারণ হচ্ছে আত্মহত্যা।
তারা বলেন, ২০১২ সালে ৮ লাখ ৩ হাজার ৯শ’ মানুষ আত্মহত্যা করেছে। এদের মধ্যে ৬ লাখ ৬ হাজার ৭শ’ মানুষ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের। বাংলাদেশে প্রতি লাখে ৭ থেকে ৮ জন আত্মহত্যা করে জানিয়ে তারা বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা করছে ২০২০ সাল নাগাদ প্রতি বছর সাড়ে ১৫ লাখ আত্মঘাতী হবে। আর আত্মহত্যা চেষ্টা চালাবে এর চেয়েও ১০ থেকে ২০ গুণ বেশি মানুষ।
এ সময় বক্তারা আরো বলেন, আত্মহত্যা একটি মানসিক রোগ। বিষণ্ণ জীবন থেকে রক্ষা পেতেই মানুষ আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। বাংলাদেশ বিশ্বের দশম আত্মহত্যা প্রবণ দেশ। তবে জনসচেনতার মাধ্যমেই আত্মহত্যা প্রতিরোধ করা সম্ভব।
আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রাইটার টুমোরোর আহবায়ক জয়শ্রী জামান, দৈনিক ইত্তেফাকের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও পাক্ষিক অনন্যার সম্পাদক তাসমিা হোসেন, সংসদ সদস্য কেয়া চৌধুরী ও শিল্পী শবনম মুসতারী প্রমুখ।
আএসএস/এসএইচএস