সিম্পল থাকতেই ভালোবাসি : তপু
`একটা গোপন কথা ছিল বলবার`, `মন ভালো নেই` কিংবা `বন্ধু ভাবো কি` -এর মতো অসংখ্য জনপ্রিয় গান যার দখলে, তিনি তপু। কণ্ঠশিল্পী তপুকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। শুধু তরুণ প্রজন্ম নয়, সববয়সী মানুষের কাছেই সমান জনপ্রিয় তিনি। তার মতো করে গান গাইতে পারা কিংবা তার মতো করে ভাবার স্বপ্ন অনেকেরই। যে ছেলেটি বা মেয়েটি তার মনের মানুষকে মনের কথা বলতে পারছে না, সে হয়তো মনের মানুষটিকে শুনিয়ে দিলো তপুর সেই গান, `এত ভেবে কী হবে`। জনপ্রিয় এই কণ্ঠশিল্পী তার ফ্যাশন ও লাইফস্টাইলের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন জাগোনিউজের সঙ্গে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন হাবীবাহ্ নাসরীন-
তপুর সারাদিন
তপুর দিন শুরু হয় একটু দেরিতে। ঘুম ভেঙে বিছানা ছাড়তেই ন`টা বেজে যায়। ভাবছেন, সে কী, তপু এত অলস! এক মিনিট, তপু ক`টায় ঘুমাতে যান সেটাও তো জেনে নিতে হবে। ঘুমের সময়টা তার রাত দুইটার পরে শুরু হয়। এর আগের তিন-চার ঘণ্টা কাটে নিজস্ব স্টুডিওতে। ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন তিনি বিশ মিনিট কণ্ঠচর্চা অর্থাৎ গানের রেওয়াজ করেন। এরপর ওটস এবং দুধ খেয়ে সোজা অফিস। হ্যাঁ, সকালের খাবার তার ওটুকুই। দুপুরের খাবার দুইটা থেকে আড়াইটার মধ্যে অফিসেই সেরে নেন। সবজি, মাছ, সালাদ এসবই খাওয়া হয় দুপুরের খাবারে। মাংস খুব একটা পছন্দ নয় বলে খাওয়াও হয় না তেমন। তবে মাঝে মাঝে দাওয়াতে কিংবা বেড়াতে গেলে অল্পস্বল্প খাওয়া হয়।
বেলা দশটা কিংবা সাড়ে দশটা থেকে সন্ধ্য সাতটা কিংবা আটটা পর্যন্ত তার অফিসেই কাটে। এরপর যখন বাসায় ফেরেন, ঘড়ির কাঁটা ততক্ষণে হয়তো নয়টার ঘর পার হয়ে গেছে। দশটার ভেতরে রাতের খাবার পর্ব শেষ করেন। রাতে চেষ্টা করেন যতোটা সম্ভব কম খেতে। রুটি, সবজির সঙ্গে ইচ্ছে হলে দু`য়েক টুকরো মুরগীর মাংস- এই তার রাতের খাবার। তারপর স্টুডিওতে কাজ করেন রাত দেড়টা কিংবা দুইটা পর্যন্ত। তারপর ঘুম। তারপর আবার সকাল। এবং তারপর আরেকটি ব্যস্ত দিনের শুরু। এই হলো তপুর মোটামুটি প্রতিদিনের রুটিন।
শরীরচর্চা
আলাদা করে শরীরচর্চা তার করা হয় না। আসলে সেই সময়টুকুই মেলে না। তবে চেষ্টা করেন সুযোগ পেলেই হাঁটতে। ছাদে, লনে যেখানেই সুযোগ পান, হেঁটে নেন। সুস্থ থাকতে সব ধরণের তৈলাক্ত খাবারই এড়িয়ে চলেন।
পোশাক এবং অন্যান্য
ঘরে এবং বাইরে প্রিয় পোশাক জিন্স, টি-শার্ট। তবে অফিসে জিন্সের সঙ্গে ফরমাল শার্ট পরা হয়। পোশাকের রঙের ক্ষেত্রে নীল রঙটার প্রতি তার পক্ষপাতিত্ব। তবে অন্যান্য উজ্জ্বল রঙের পোশাকও পরা হয়। পছন্দের কোনো ব্র্যান্ড নেই, যেকোনো ভালো মানের পোশাকই পরেন। জুতোর ক্ষেত্রে ফিতা ছাড়া জুতো বেশি পছন্দ হলেও শু কিংবা স্নিকার্স বেশি পরা হয়। পোশাকের সঙ্গে অনুষঙ্গ হিসেবে অতিরিক্ত কিছুই পরেন না তিনি। এমনকি ঘড়িও নয়। শুধু পারফিউমটাই ভালোবাসেন। হুগো বস, আরমানি ব্র্যান্ডের পারফিউম বেশি পছন্দ। এছাড়াও দেশ-বিদেশের প্রচুর পারফিউম রয়েছে তার সংগ্রহে।
প্রিয় কাজ
গানের মানুষ, তাই প্রিয় কাজও হচ্ছে মিউজিক নিয়ে চিন্তা করা। ভালোবাসেন ঘুরে বেড়াতে, সিনেমা দেখতে। বই পড়তে ভালোবাসেন তবে এখন আর পড়ার সুযোগ পান না খুব একটা। প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ে এবং মাইকেল জ্যাকসনের গান শুনে অনুপ্রেরণা পেয়েছেন তিনি। ভালো যেকোনো গানই ভালো লাগে তার।
প্রিয় খাবার
পাঠক এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, তপু স্বল্প আহারী মানুষ। কম খেতে ভালোবাসেন তাই পছন্দের খাবারও একটাই, শিক কাবাব।
অবসরে
অবসরে পরিবারকে সময় দেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পছন্দের জায়গায় ঘুরে বেড়ান। সিনেমা দেখেন।
এইচএন/আরআইপি