গ্যাসের দাম বৃদ্ধি : জনগণকে গুনতে হবে বাড়তি ১৮৬০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:২০ পিএম, ৩০ জুন ২০১৯
ফাইল ছবি

ভোক্তা পর্যায়ে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম ৩২ দশমিক ৮ শতাংশ বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন। নতুন দাম অনুযায়ী জুলাই থেকে এক চুলায় প্রতি মাসে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা দিতে হবে। ফলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে গ্রাহক বা দেশের জনগণের কাছ থেকে ১ হাজার ৮৬০ কোটি টাকা বাড়তি নেবে কমিশন।

রোববার (৩০ জুন) বিকেলে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে গ্যাসের দাম বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরার পর এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ তথ্য জানায়। এ সময় রেগুলেটরির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মো. মিজানুর রহমান, রহমান মুরশেদ, মাহমুদউল হক ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির ফলে গ্রাহকদের কাছ থেকে কমিশনের বাড়তি কত টাকা আসবে? জানতে চাইলে এনার্জি রেগুলেটরির পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ঘাটতি যেটা হবে সেটার জন্য ৭৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল। এখানে ফান্ড থেকে ১৩ শতাংশ দেওয়া হবে। সরকার থেকে ২৯ শতাংশ দেওয়া হবে। বাড়ানো হয়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশের মতো। গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা আসবে।

৩২ দশমিক ৮ শতাংশ গ্যাসের দাম বাড়ানোর এ আদেশ সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে। নতুন দামে গৃহস্থালির ক্ষেত্রে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটারে ১২ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। এক চুলায় প্রতি মাসে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২৫ টাকা এবং দুই চুলায় ৯৭৫ টাকা।

সিএনজির ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩ টাকা এবং হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের ক্ষেত্রে ২৩ টাকা। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, সার ৪ টাকা ৪৫ পয়সা, শিল্পে ১০ টাকা ৭০ পয়সা, চা-বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা। এর মধ্যে শুধু ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়নি। এর আগের দাম প্রতি ঘনমিটার ১৭ টাকাই রাখা হয়েছে।

এর আগে গ্যাস কোম্পানিগুলোর আবেদন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে ১১ থেকে ১৪ মার্চ গণশুনানির আয়োজন করে কমিশন। গ্যাসের উৎপাদন, এলএনজি (লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) আমদানি, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যয় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনায় এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কমিশন।

দেশীয় গ্যাস উৎপাদনের পরিমাণ ২৬ হাজার ৪৭৯ দশমিক ৯১ মিলিয়ন ঘনমিটার, যা মোট উৎপাদনের ৭৫ শতাংশ। এলএনজি আমদানির পরিমাণ ৮ হাজার ৭৮২ দশমিক ৪৬ মিলিয়ন ঘনমিটার, যা মোট উৎপাদন ও আমদানির ২৫ শতাংশ। দেশীয় উৎপাদিত ও আমদানি করা মিলে ২০১৯-২০ অর্থবছরে মোট গ্যাসের পরিমাণ ৩৫ হাজার ২৬২ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন ঘনমিটার।

পিডি/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।