পুরুষের তুলনায় নারীরা দ্রুত মাদকাসক্ত রোগে আক্রান্ত হয়

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১২:৩৮ এএম, ২৮ জুন ২০১৯
প্রতীকী ছবি

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস-২০১৯ উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘নারী মাদক নির্ভরশীলদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার অধিকার নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের কাউন্সেলর ফাইরোজ জীহান।

মূল প্রবন্ধে ফাইরোজ জীহান বলেন, জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়- মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭০ লাখ মাদক নির্ভরশীল যেখানে ৮৪ ভাগ পুরুষ এবং ১৬ ভাগ নারী। কিন্তু এখন নারীদের ক্ষেত্রে এই হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়া মাদকাসক্তির প্রথম ধাপ বলা হয় তামাক ব্যবহার যার ব্যবহার বাংলাদেশে অনেক বেশি।

তিনি আরও বলেন, একটি গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরা নারীদের তুলনায় আগে মাদক গ্রহণ শুরু করে। কিন্তু নারীরা যখন মাদক গ্রহণ শুরু করে তখন তারা পুরুষের তুলনায় অধিক দ্রুত মাদকাসক্ত রোগে আক্রান্ত হয়।

ফাইরোজ জীহান বলেন, আহ্ছানিয়া মিশন নারী মাদকাসক্ত ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের একটি জরিপে পাওয়া গেছে- বর্তমানে ৩৩১ জন নারী রোগীর মাঝে শতকরা ১৪ জন নারী দীর্ঘদিনের মাদক নির্ভরশীলতার কারণে মানসিক রোগে আক্রান্ত এবং শতকরা ৮৭ জন নারী মানসিক রোগের কারণে মাদক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. মোহিত কামাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (ঢাকা মেট্রো উত্তর) মুহাম্মদ খোরশেদ আলম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. নাহিদ মাহজাবীন মোর্শেদ এবং সহযোগী অধ্যাপক ডা. সুলতানা আলগীন।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ। সঞ্চালনা করেন স্বাস্থ্য সেক্টরের টেকনিক্যাল অফিসার তাসনুভা হুমায়রা। সেমিনারে বিভিন্ন সরকারি বেরসকারি সংস্থার প্রতিনিধিগন অংশগ্রহণ করেন।

এফএইচএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।