অনলাইনে ভিসা পেয়েছেন সাড়ে তিন হাজার হজযাত্রী
চলতি বছর প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হজভিসা ইস্যু করছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। আসন্ন হজে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাজিরা যাতে কোনো ধরনের দুর্ভোগ ছাড়াই নির্বিঘ্নে পবিত্র হজপালন করতে পারেন সে জন্য প্রত্যেক যাত্রীর অনুকূলে সৌদি আরবে আসা-যাওয়ার বিমান টিকিটের দিনক্ষণ এবং মক্কা ও মদিনায় বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ও খাবার সরবরাহকারী সংস্থাসহ হজপালন সংক্রান্ত প্রতিটি ডকুমেন্ট অনলাইনে যাচাই-বাছাই করে সন্তুুষ্ট হলে তবেই ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, গত তিনদিন যাবত বাংলাদেশের হজযাত্রীদের হজভিসা প্রদান শুরু হয়েছে। বুধবার দুপুর পর্যন্ত বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বিভিন্ন এজেন্সির তিন হাজার ১৫৪ জন ও সরকারি ব্যবস্থাপনার ৬০৫ জন হজযাত্রীর ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। তবে দুই-চার দিনের মধ্যে ভিসাপ্রাপ্ত হজযাত্রীদের সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আসন্ন হজে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যাচ্ছেন। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় সাত হাজার ১৯৮ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন হজযাত্রী রয়েছেন। ইতোমধ্যেই সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার ৬২ হাজারেরও বেশি হজযাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও ইনফ্লুয়েঞ্জা এবং ম্যানেনজাইটিস টিকাদান কার্যক্রম শেষ হয়েছে।
আগামী ৪ জুলাই থেকে চলতি বছরের হজ ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। ধর্ম মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে আগামী ৪ ও ৫ জুলাইয়ের সরকারি হজযাত্রীদের নামের তালিকা ও ফ্লাইট টাইম ঘোষণা করেছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জাগো নিউজের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এবারই প্রথম পূর্ণাঙ্গ অনলাইন পদ্ধতিতে হাজিদের ভিসা দেয়া হচ্ছে। গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশস্থ সৌদি দূতাবাসে পাসপোর্ট জমা দেয়ার বিধান থাকলেও এবার অনলাইনেই তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করে ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে।
ওই কর্মকর্তা জানান, প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভিসা প্রদান প্রক্রিয়ায় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কিছু ক্রুটির কারণে ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া শ্লথ গতিতে চলছে। শুধু বাংলাদেশেই নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হজযাত্রীদের ভিসা পেতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ভিসা প্রদান প্রক্রিয়া গতিশীল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রীদের সৌদি আরবে অংশের ইমিগ্রেশন বাংলাদেশেই হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হবে। এর ফলে সৌদি আরবের জেদ্দা বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন করার জন্য হজযাত্রীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে না। তবে এ বছর বাংলাদেশি সকল হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন বাংলাদেশে করা সম্ভব হবে না বলে জানা গেছে।
এমইউ/বিএ