ছলচাতুরি করে খালেদাকে কারাগারে রাখা হচ্ছে : সংসদে বিএনপি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪২ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯

সংসদে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার বলেছেন, দীর্ঘ ৫০ বছরের আইন পেশার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে যে মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে তা জামিনযোগ্য। শুধু প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে জামিন না দিয়ে নানা উছিলায় ছলচাতুরি করে কারাগারে আটকে রাখা হচ্ছে, যা নিতান্তই অমানবিক। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার স্বার্থে তার নিঃশর্ত মুক্তি চাই।

সোমবার রাতে সংসদে বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। উকিল আব্দুস সাত্তার বলেন, তিনবারের সফল প্রধানমন্ত্রী দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে এক বছরের বেশি সময় কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসার স্বার্থে তাকে মুক্তি দেয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীও কথা দিয়েছিলেন বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করবেন। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করছি। সারাদেশে বিএনপিসহ বিরোধী দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীর নামে দায়েরকৃত সব গায়েবি মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করে নেয়া হোক। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হলে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চার জন্য ন্যূনতম স্পেস দিতে হবে।

বাজেটের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিশাল যে বাজেট দেয়া হয়েছে তা জনকল্যাণমুখী কি না আমার সন্দেহ আছে। বাজেটে প্রতি বছরই ঘাটতি বাড়ছে। বৈদেশিক ঋণ বাড়ছে। বিনিয়োগ কমে যাচ্ছে। কিন্তু এসব প্রতিকারের কোনো ব্যবস্থা নেই। কৃষিখাতে কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে। শিক্ষাখাতে সঠিক নজর দেয়া হয়নি।

তিনি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, শেয়ারবাজারকে ধ্বংস করা হয়েছে। ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে- এর কোনো প্রতিকার নেই। ঋণখেলাপিদের ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা নেই। ৩০০ ঋণখেলাপির ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে আমরা জানতে চাই।

তিনি বলেন, এই বাজেটের ফলে ধনী-গরিবের বৈষম্য বাড়ছে। ধনীরা আরও ধনী হচ্ছে, গরিব আরও গরিব হচ্ছে।

এইচএস/বিএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।