এডিস মশার উৎপত্তিস্থলে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রমের আহ্বান

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৬:২৭ পিএম, ২৪ জুন ২০১৯

ডেঙ্গু ভাইরাসবাহিত এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে নিয়মিত মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে তুলতে সহায়তা কামনা করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় বাংলাদেশ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে কম। তবে কোনো মৃত্যুই কাম্য নয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে চিকিৎসক-নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ লাভ করায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে।

সোমবার (২৪ জুন) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সম্প্রতি ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ডেঙ্গু মশা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগাম প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকার মধ্যে কোথায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি সে সম্পর্কে বছরে তিনবার জরিপ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জরিপ প্রতিবেদনগুলো ঢাকা উত্তরা ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য গাইডলাইন তৈরি করে পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে ডেঙ্গু মশার প্রজনন বেশি হয়। বর্তমানে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিয়েছে। তবে পরিস্থিতি মোটেই আশঙ্কাজনক নয়।

তিনি বলেন, ২০০০ সালে ৫ হাজার ৫৫১ জন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে শতকরা ৭৯ ভাগ স্বাভাবিক ডেঙ্গু জ্বর ও শতকরা ২১ ভাগ ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর এবং মৃত্যুহার ছিল শতকরা ১ দশমিক ৭ ভাগ। ২০১৮ সালে আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ১৪৮ ও মৃতের সংখ্যা ২৬ জন। চলতি বছর ১ জানুয়ারি থেকে ২৩ জুন পর্যন্ত ৮৮৪ জন আক্রান্ত হয় ও দুজন মারা গেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্য সচিব আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দুই প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিডেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন, ব্রিডেডিয়ার জেনারেল শরীফ আহমেদ ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ উপস্থিত ছিলেন।

এমইউ/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।