রাউজানে ‘তাণ্ডবলীলা’ বন্ধে ঢাকায় মানববন্ধন

মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন
মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন , আমিরাত প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৪৮ পিএম, ২৩ জুন ২০১৯

প্রায় আড়াই মাস ধরে চলা চট্টগ্রাম জেলার রাউজানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ঢাকাস্থ রাউজানবাসী। সম্প্রতি নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তারা মানববন্ধনের আয়োজন করে।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করার জের ধরে আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য, শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ফেডারেশনের সাবেক সহ-সভাপতি ও প্রফেসর ড. আবুল মনছুরের বাড়ি-ঘর ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ করে নেতাকর্মীরা।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মাওলানা রাকিব উদ্দীন, মাসুদ ইকবাল প্রমুখ। বক্তারা বলেন, ‘প্রফেসর ড. আবুল মনছুরকে মোবাইলে গালিগালাজসহ তাকে গুলি করার হুমকি দেয়া হচ্ছে। এতে আমরা রাউজানবাসী আতঙ্কিত। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, স্কুল ও মাদরাসার অনেক শিক্ষক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ কেউ মামলা থেকে রেহাই পায়নি।’

বক্তারা বলেন, ‘আজ হাজার হাজার লোক রাউজান ছেড়ে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এ পর্যন্ত ৫২টির বেশি বাড়ি-ঘর, ২৬টি এবাদতখানা, ১৮টি দোকানপাট ভাংচুর এবং লুটপাট হয়েছে।’

কাগতিয়া মাদরাসার দানবাক্স ভেঙে টাকা পয়সা লুট হচ্ছে বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে। এমপির মিথ্যা আশ্বাসে রাউজানবাসীরা হতাশ।

বক্তারা আরও বলেন, রাউজান থানার মাদরাসার শিক্ষক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জোরপূর্বক গত ২৪ জুন মানববন্ধন করতে বাধ্য করা হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড বন্ধে অবিলম্বে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা উপ-মন্ত্রীসহ জেলা প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে ইস্যু করে গত এপিলে রাউজানে শুরু হওয়া তাণ্ডবলীলায় পুরো এলাকা অশান্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটিকে আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। অথচ এ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত অধিকাংশ ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।

কিছু দুষ্কৃতিকারী নিজস্ব স্বার্থ সিদ্ধির জন্য স্থানীয় এমপির নিজস্ব বাহিনীর ছত্রছায়ায় ভাংচুরসহ বিশৃঙ্খলা করছে বলে অভিযোগ আনা হয়। এ পর্যন্ত রাউজান জুড়ে ২৬টি তরিক্বতের খানকাহ্ (এবাদতখানা), ৪৬টির বেশি বাড়িঘর ও ১৮টির বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করে দুষ্কৃতিকারীরা ব্যাপক ক্ষতিসাধন করেছে। ভাংচুর, চাঁদাবাজি ও ক্ষয়ক্ষতির আনুমানিক পরিমাণ ৬ কোটি তিন লাখ টাকা।

এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।