বদলি নিয়ে বিমানে ‘অসন্তোষ’ ও ‘আতঙ্ক’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:০৯ পিএম, ২০ জুন ২০১৯

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত ১৬ কর্মচারীকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। ওই ঘটনায় অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে বিমানে। পাশাপাশি বদলি আতঙ্কও দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিমানের প্রচলিত নিয়ম না মেনে সমানে বদলি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, ঢাকা থেকে দক্ষ জনবল বদলি করা হচ্ছে। অন্যদিকে কম গুরুত্বপূর্ণ এবং স্টেশনের কাজ কম জানাদের ঢাকায় আনা হচ্ছে। এতে সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

আউট স্টেশন থেকে বদলি হয়ে আসার বছরখানেকের মাথায় আবারও বদলির মুখে পড়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ আট থেকে ১০ বছর একই স্থানে রয়ে গেছেন। অজ্ঞাত কারণে তাদের বদলি করা হচ্ছে না। ফলে বিতর্কিত হয়ে পড়ছে বদলি-প্রক্রিয়া, অভিযোগ তাদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলছেন, চমক দেখানোর জন্য সদ্য আগত পরিচালক (প্রশাসন) এসব করছেন। বিমানে তার ওপর কথা বলার কেউ নেই। এমনকি ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মন্ত্রণালয় থেকে আগত ওই পরিচালকের কথা মতো সব কাজ করছেন।

গত সপ্তাহে সিনিয়র এক জিএমকে ডিজিএম পদে বদলি করা হয়। ওই ঘটনায় বিমানের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোকাব্বির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘পরিধির বিবেচনায় অত বড় প্রতিষ্ঠান না হলেও বিমানে সামান্য কিছু ঘটলে মিডিয়ায় তোলপাড় শুরু হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিমানকর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই। মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো পরিচালক (প্রশাসন) সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণের পর সিদ্ধান্ত নেন। আমরা মনে করি, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। যে যা-ই বলুক, আমরা বিমানকে একটা সার্থক জায়গায় নিয়ে যেতে চাই।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিভিন্ন শাখায় কর্মরত ১৬ জনকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। ঈদের আগে এ বদলির অর্ডার হয়। কিন্তু মানবিক কারণে এবং তাদের অনুরোধে ঈদের আগে বদলি কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়। ঈদের পর বদলি আদেশ বাস্তবায়ন হয়।

আরএম/এমএআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।