পাঁচ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ ‘অ্যামোডিস’ বাজারে বিক্রি!

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৭:১৮ পিএম, ১৯ জুন ২০১৯

আমাশয়ের ওষুধ অ্যামোডিস। ২০১১ সালের জুলাইয়ে উৎপাদন। ২০১৪ সালে ওষুধের মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও বিক্রি হচ্ছে খোদ রাজধানীতে। অর্থাৎ পাঁচ বছর আগের মেয়াদোত্তীর্ণ অ্যামোডিস সিরাপ বিক্রি হচ্ছে ২০১৯ সালেও।

বুধবার (১৯ জুন) রাজধানীর বাড্ডা ও ভাটারা এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে এ প্রমাণ পায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে।

অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করেন অধদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মণ্ডল ও আফরোজা রহমান।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল জাগো নিউজকে বলেন, মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ওষুধ সেবন করে। যদি ওষুধ মেয়াদহীন ও ভেজাল হয় তাহলে নিরাময় নয় হবে মরণ। এ জন্য রাজধানীর ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হচ্ছে। আজ বাড্ডা ও ভাটারা এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এখানকার বেশিরভাগ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি হচ্ছে। অসচেতনতা ও বাড়তি মুনাফার লোভে এ কাজ করছে তারা। মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর মুখে।

তিনি বলেন, আইনকে তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। হাইকোর্ট ফার্মেসিতে বিক্রি হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এটিও তারা মানছেন না। আমরা অসৎ ব্যবসায়ীদের ধরছি। একই সঙ্গে আইন অনুযায়ী শাস্তি দিয়েছি। এর মধ্যে যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে বিক্রমপুর ফার্মেসিতে তদারকি এবং বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে জরিমানাসহ জনস্বার্থে প্রতিষ্ঠানটি সাময়িক বন্ধ করা হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে বাজার তদারককালে বাড্ডা ও ভাটারা এলাকার চার ফার্মেসিতে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ পাওয়া যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রর অপরাধে বাড্ডার সেবা মেডিকেল হলকে ২০ হাজার, ভাটারার বিজয় ফার্মেসিকে ২০ হাজার, ইউসুফ ব্রাদার্স ফার্মেসিকে ২০ হাজার এবং বিক্রমপুর ফার্মেসিকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয। একই সঙ্গে ফার্মেসিগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।

অভিযানে সার্বিক সহায়তা করেন আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১১ এর সদস্যরা।

প্রসঙ্গত মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানিতে ফার্মেসিতে বিক্রি হওয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ এক মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সঙ্গে সঙ্গে রুলও জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি ও সংরক্ষণ বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না তা জানতে চেয়েছেন আদালত।

বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এসআই/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।