সাভারের বায়ু সবচেয়ে দূষিত, সবচেয়ে কম কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৫০ এএম, ১৭ জুন ২০১৯

মেগাসিটি রাজধানী ঢাকা শহরের চেয়ে সাভারের বায়ু বেশি দূষিত। ঢাকা শহরে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (বায়ুমান মানমাত্রা) ১১৫ হলেও সাভারে এর পরিমাণ ১৩৫। ঢাকার চেয়ে আরও বেশি বায়ু দূষণকারী শহর রংপুর। এ শহরে বায়ুমান মানমাত্রা ১২৮।

শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও গত শনিবার (১৫ জুন) পরিবেশ অধিদফতরের বায়ুমান মানমাত্রা মনিটরিং স্টেশন সূত্রে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। বাতাসে কার্বন ডাই অক্সাইড, লেড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ও প্রলম্বিত বস্তু কণার কারণে বায়ুদূষিত হয়।

পরিবেশ অধিদফতরে তথ্যানুযায়ী, বিভিন্ন শহরের মধ্যে বায়ুমান মানমাত্রা চট্টগ্রামে ৩৫, গাজীপুর ৮৩, নারায়ণগঞ্জ ৮৫, সিলেট ৩৯, বরিশাল ৩৯, ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা ২৭। দূষক প্যারামিটার পিএম ২ দশমিক ৫ ধরে এ হিসাব করা হয়।

পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম রফিক আহাম্মদ জানান, নিয়মিত বায়ুমান মনিটরিংয়ের জন্য রাজধানীসহ সারাদেশে তাদের ১৬টি স্টেশন চালু রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকায় ৪টি (ফার্মগেট, সংসদ ভবন, দারুস সালাম ও সাভার), চট্টগ্রামে ২টি; খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, ময়মনসিংহ, রংপুর, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও নরসিংদীতে ১টি করে সার্বক্ষণিক বায়ু মনিটরিং স্টেশন রয়েছে।

স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ বিবেচনায় বায়ুমান মানমাত্রার পরিমাণ শূন্য থেকে ৫০ হলে ভালো, ৫১ থেকে ১০০ হলে মধ্যম, ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাবধানতা/সতর্কীকরণ, ১৫১ থেকে ২০০ হলে অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুব অস্বাস্থ্যকর ও ৩০১ থেকে ৫০০ পর্যন্ত অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলে বিবেচনা করা হয়।

বায়ুমানের হিসাবে রাজধানী ঢাকা, সাভার এবং রংপুর শহরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগের স্থান সাবধানতা/সতর্কীকরণ লেবেলে রয়েছে। নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ মধ্যম। স্বাস্থ্য উদ্বেগ সবচেয়ে কম কুমিল্লা ও ময়মনসিংহ। এ ছাড়া স্বাস্থ্যগত উদ্বেগ কমের শহরের মধ্যে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, বায়ুদুষণের ফলে মানুষের শ্বাসযন্ত্র, হৃদরোগ, ক্যানসার ও ডায়াবেটিস বৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি হয়। এ ছাড়া বাযুদূষণ মাতৃগর্ভে ভ্রূণের ক্ষতিসাধনসহ শিশুর বুদ্ধিমত্তা বিকাশ ব্যাহত করে।

এমইউ/এসআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।