তৃণমূলে উন্নয়ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছে সরকার : স্পিকার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:০৪ পিএম, ১৬ জুন ২০১৯

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত কয়েক বছর ধারাবাহিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ প্রবৃদ্ধি বর্তমানে ৮ শতাংশ। বর্তমান সরকার তৃণমূল পর্যায়ে উন্নয়ন সেবা পৌঁছে দিচ্ছে।’

রোববার স্পিকারের কার্যালয়ে ১৩তম ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অব চায়নার (এনপিসি) স্টান্ডিং কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর ইন্টারন্যাশনাল আন্ডারস্টান্ডিংয়ের প্রেসিডেন্ট মি. জি বিংজুয়ান নেতৃত্বে ১৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এসব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকালে তারা দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বাংলাদেশের অবকাঠামোগত ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন, বাণিজ্য প্রসার, সিল্করোড কানেক্টিভিটি স্থাপন ও সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন অংশীদার চীন।’ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিশেষ করে ১০০টি বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, হাইটেক পার্ক ও তথ্য-প্রযুক্তির ক্ষেত্রে চীনকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি। জনবহুল বাংলাদেশের একটা বড় অংশই হচ্ছে তরুণ—তাই বিনিয়োগ বৃদ্ধির মাধ্যমে তরুণদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতে বাংলাদেশে চীনের বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ দু’দেশের সংসদ সদস্যদের সফর বিনিময় এবং মৈত্রীগ্রুপ গঠনের মাধ্যমে বিদ্যমান সম্পর্কে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্পিকার।

শিরীন শারমিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন সুদৃঢ়। ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জনগণের জীবনমানের ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমান সরকারের অন্যতম এজেন্ডা দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনা। ইতোমধ্যে সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় দারিদ্র্যের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশের দিকে পা বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে রূপকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে মধ্যম আয়ের দেশ হবে, ২০২৪ সালে উন্নয়নশীল দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।’

চীনের প্রতিনিধি দলের প্রধান মি. জি বিংজুয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশে গত দুই মেয়াদে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা উন্নয়নকে তরান্বিত করেছে- যা প্রশংসনীয়।’

বাংলাদেশকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। আঞ্চলিক সংযোগ বৃদ্ধি এ অঞ্চলের সব দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।’

জি বিংজুয়ান বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব দিন দিন শক্তিশালী হচ্ছে। ভবিষ্যতে উন্নয়ন সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব গুণ ও জনগণের প্রতি ভালবাসার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।

এ সময় বাংলাদেশস্থ চীনের রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং ঝুও, প্রতিনিধি দলের সদস্য এবং সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে প্রতিনিধি দল একাদশ জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

এইচএস/এনডিএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।