তামাকের কর না বাড়ায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়বে দরিদ্র্ররা
জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার (১৫ জুন ) রাজধানীর শ্যামলীতে নিজস্ব কার্যালয়ে এ প্রতিক্রিয়া জানানো হয়।
এ সময় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে নিম্ন, মধ্যম, উচ্চ ও প্রিমিয়াম স্তরে সিগারেটের সম্পূরক শুল্ক অপরিবর্তিত রেখে শুধুমাত্র মূল্য পরিবর্তন করায় বিশেষত বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানিগুলো এবারের বাজেটে ব্যাপকভাবে লাভবান হওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। সম্পূরক শুল্ক না বাড়ানোয় সরকারের রাজস্ব বাড়ার কোনো সুযোগ থাকছে না। সরকারের এই পদক্ষেপে বিগত বছরের তুলনায় মূল্যস্তর ভেদে তামাক কোম্পানিগুলোর আয় ৩১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। স্তর সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখায় ভোক্তার সিগারেট স্তর পরিবর্তনের সুযোগ থেকে যাবে।
তিনি বলেন, নিম্নস্তরে মাত্র ২ টাকা মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়, যা অত্যন্ত হতাশাজনক। এদিকে ধূমপায়ীদের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ এই নিম্ন স্তরের সিগারেটের ভোক্তা। জনগণের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি এবং মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় না নেয়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতার কোনো পরিবর্তন হবে না। একই সঙ্গে নতুন তরুণ প্রজন্মকে ধূমপানে নিরুৎসাহিত করা যাবে না।
এ সময় তারা প্রস্তাবিত বাজেটে স্বল্পমূল্যের বিড়ি-সিগারেটসহ সকল তামাক পণ্যের ওপর উচ্চহারে কর বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন।
তারা বলেন, বাজেটে ইনপুট ক্রেডিট সুবিধা দেয়ায় তামাক কোম্পানিগুলো বছরে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা কর রেহাতের সুযোগ পাবে। এই সুবিধা রহিতের দাবি জানিয়ে তারা অবিলম্বে তামাক করনীতি প্রণয়নের দাবি জানান।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দ্য ইউনিয়নের টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট মাহবুবুল আলম তাহিন, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের রোগতত্ত্ব ও গবেষণার প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, তামাক বিরোধী নারী জোটের সমন্বয়ক সৈয়দা সাঈদা আক্তার, যমুনা নিউজের বিশেষ সংবাদদাতা সুশান্ত সিনহা, এইড ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাভার পৌরসভার সিইও শরাফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের কান্ট্রি লিড কন্সালটেন্ট মো. শরীফুল ইসলাম, কান্ট্রি ম্যানেজার আব্দুস সালাম মিয়া।
এফএইচএস/এমএমজেড/এমএস