ভালো না লাগা পার্টির কিছুই ভালো লাগবে না
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:২৬ পিএম, ১৪ জুন ২০১৯
বাজেটে দুঃশাসনের সুবিধাভোগীরা সুবিধা পাবে অর্থনৈতিক গবেষকদের এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ভালো না লাগা পার্টি যারা তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না।’
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শুক্রবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন : অর্থমন্ত্রীর জন্য দোয়া চাইলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু লোক থাকে যাদের একটা মানসিক অসুস্থতা থাকে, তাদের কিছুই ভালো লাগে না। আপনি যত যত ভালো কাজ করেন, তারা কোনো কিছুতেই ভালো খুঁজে দেখে না। যখন দেশ একটা গণতান্ত্রিক পদ্ধতি থাকে, যখন দেশে অর্থনৈতিক উন্নতি হয়, সাধারণ মানুষের উন্নতি হয়; তখন তারা কোনো কিছুই ভালো দেখে না। সবকিছুতেই কিন্তু খোঁজে।’
তিনি বলেন, ‘যাদের গবেষণা, তারা কী গবেষণা করে আমি জানি না। তারপরও তাদের একটা কিছু বলতে হবে। সেটা ভালো। আবার এত সমালোচনা করেও তারা বলবে আমরা কথা বলতে পারি না। এ রোগটাও আছে আবার। এটা অনেকটা অসুস্থতার মতো।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে সাধারণ জনগণ খুশি কি না, সাধারণ মানুষ খুশি কি না। সাধারণ মানুষ তাদের ভালো করতে পারছি কি না- এটা হচ্ছে বড় কথা।’
তিনি বলেন, ‘বাজেটের সুফলটা কিন্তু একেবারে গ্রামের মানুষের কাছে পৌঁছাবে। আর এ ভালো না লাগা পার্টি যারা, তাদের কোনো কিছুতেই ভালো লাগবে না। তারা গবেষণা করে কি আনতে পারলেন দেশের জন্য সেটা আমি জানি না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটা নিয়ে আমার বেশি একটা মাথাব্যথা নেই। আমি এইটুকু বলব, দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করা, দেশকে উন্নত করা, সমৃদ্ধশালী করা এবং স্বাধীনতার সুফলটা যেন দেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে পৌঁছায় সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সে লক্ষ্যে নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি মনে করি, আমরা যথেষ্ট অগ্রগতি আনতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এখন বাংলাদেশ বাইরে গেলে আগে যারা মনে করতো আমরা ভিক্ষুকের জাত হিসেবে যাচ্ছি এখন আর কেউ তা মনে করে না। এটাই হচ্ছে আমাদের সব থেকে বড় অর্জন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা সমালোচনা করার তারা করে যাক। ভালো কথা বললে আমরা গ্রহণ করব। মন্দ কথা বললে আমরা ধর্তব্যে নেব না। পরিষ্কার কথা।’
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা ও পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
রীতি অনুযায়ী প্রতিবার বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন অর্থমন্ত্রী। এবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল অসুস্থ হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়। এটি দেশের ৪৮তম এবং বর্তমান সরকারের তৃতীয় মেয়াদের প্রথম বাজেট। ‘সমৃদ্ধ আগামীর পথযাত্রায় বাংলাদেশ : সময় এখন আমাদের, সময় এখন বাংলাদেশের’ শিরোনামে প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ধরা হয় ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেট এটি।
গতকাল বেলা ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশন শুরু হয়। শুরুতে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নতুন অর্থমন্ত্রী হিসেবে এটি তার প্রথম বাজেট।
দাঁড়িয়ে বাজেট বক্তৃতা শুরু করলেও পরে স্পিকারের অনুমতি নিয়ে অর্থমন্ত্রী নিজ আসনে বসে বাজেট উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিকেল ৪টার পর অসুস্থ অর্থমন্ত্রীর পক্ষে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন সম্ভব না হওয়ায় স্পিকারের অনুমতি নিয়ে বাকি অংশ সংসদে উপস্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এইউএ/এনডিএস/এমকেএইচ