খোলা আকাশের নিচে ২ শতাংশ মানুষের মলত্যাগ
অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাওয়ার পথে বাংলাদেশ। কিন্তু এখনও দেশের ১০০ জনের মধ্যে দুজন খোলা আকাশের নিচে মলত্যাগ করেন। ৭৮ দশমিক ১ শতাংশ মানুষ স্যানিটারি ল্যাট্রিন ব্যবহার করেন। বাকি ১৯ দশমিক ৯ জন মানুষ অন্য পন্থা অবলম্বন করে প্রাকৃতিক কাজ সারেন।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিবিএস ভবনে ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের ফলে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। ২০১২টি নমুনা এলাকা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে খানার গড় আকার ৪ দশমিক ২ জন। এর মধ্যে খানা প্রধান শতকরা ৮৫ দশমিক ৮ পুরুষ এবং ১৪ দশমিক ২ জন নারী। ২০১৭ সালেও একই চিত্র ছিল।
প্রতিদেনে আরও বলা হয়, শতকরা ৯৮ শতাংশ মানুষ সুপেয় পানি পান করেন (ট্যাব ও নলকূপ থেকে)। ২০১৭ ও ২০১৬ সালেও একই চিত্র ছিল।
দেশের মানুষ যে আলো ব্যবহার করে, সেটার ৯০ দশমিক ১ শতাংশের উৎস বিদ্যুৎ, ৪ দশমিক ৮ শতাংশ সৌর বিদ্যুৎ (সোলার), ৫ শতাংশ কেরোসিন এবং অন্য উৎস থেকে দশমিক ১ এক শতাংশ মানুষ আলো পেয়ে থাকে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচাক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক প্রমুখ।
পিডি/জেএইচ/এমএস