আকর্ষণীয় সেলফি তুলতে চাইলে


প্রকাশিত: ০৩:৫৭ এএম, ২০ অক্টোবর ২০১৪

চারিদিকে চলছে সেলফি ম্যানিয়া। তারকারা থেকে শুরু করে সকলেই এখন নিজেদের সেলফি তুলে ফেসবুকে দিচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এই সেলফিময় সময়ে এমন মানুষ খুব কমই খুঁজে পাওয়া যাবে যারা এ নেশায় এখনো জড়ায়নি। অন্তত একটা হলেও সেলফি তো রয়েছেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেই সেলফি কেমন? কোথায়? কতোখানি মার্জিত হওয়া চাই? হ্যাঁ, সেলফি তোলার সময়ও এসব বিষয় মাথায় রাখতে হয়। তা না হলে সেলফি তোলার উচ্ছ্বাস পরিণত হবে সেলফি উন্মাদনায়।

সম্প্রতি সেলফি তোলার কিছু নিয়ম-কানুন জানিয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ‘দ্য এটিকেট ইনস্টিটিউট অব ওয়াশিংটন‘র পরিচালক ক্রিস্টাল এল. বেইলি। তিনি জানিয়েছেন সেলফি তোলার সময় কি কি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, কি কি এড়িয়ে যেতে হবে।

সেলফি নামটি এসেছে ‘সেলফ-সেন্টারড‘ কিংবা ‘সেলফ-অ্যাবসরবড‘ শব্দটি থেকে। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে নিজের ছবি নিজে তোলাই সেলফি। তাই প্রথমেই বেইলি জানিয়েছেন, সেলফিকে যতোটা সময় নিজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখুন। অন্যকে নিজের সেলফিতে যুক্ত করতে চাইলে অবশ্যই তার অনুমতি নিয়ে নিন সবার আগে। কারো অনুমতি ছাড়া তার পাশে গিয়ে সেলফি তুলতে যাবেন না।

বেইলির দৃষ্টিতে সেলফি তোলার স্থান অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। স্থানের ওপর নির্ভর করে আপনার ছবিটি আদৌ পছন্দ করার মতো, নাকি নিতান্তই অস্বস্তিকর। বেইলি একটি ঘটনার বিবরণ দিয়ে বেইলি বলেন, সদ্য প্রয়াত কৌতুকশিল্পী জোয়ান রিভার্সের অপারেশন চলছিল। এ সময় অচেতন জোয়ান রিভার্সের পাশে দাঁড়িয়ে তার চিকিৎসব তুলে ফেললেন একটি সেলফি! এমন কাণ্ড ঘটাতে একেবারেই বারণ করেছে এটিকেট মাস্টার বেইলি। তিনি জানান, সেলফি নিজের মতো করে নিভৃতে তুলুন। কোনো অচেতন ব্যক্তির সামনে সেলফি তোলা মোটেও ঠিক নয়।

সেলফি তোলার জন্য পরিস্থিতির দিকেও নজর রাখা জরুরি। তা না হলে মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামার মতো আপনিও স্ত্রীর কাছ থেকে বকা শুনতে পারেন। মনে আছে নেলসন ম্যান্ডেলার স্মরণ সভায় গিয়ে ওবামার সেলফি কাণ্ডের কথা? এমন যেন আপনার বেলায় না হয়। ভাবগম্ভীর পরিস্থিতে কোনোভাবেই সেলফি তোলার জন্য উদ্ধত হতে নেই।

আরো কিছু স্থান রয়েছে, যেখানে সেলফি তোলা থেকে বিরত থাকা ভালো। যেমন ভোট কেন্দ্রে কিংবা হাসপাতালের লেবার রুমে। ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে এই সেলফি উন্মাদনা এড়াতে ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন আর ক্যামেরা নিষিদ্ধ করেছিল রাজ্য সরকার। তবে কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে সেলফি তোলায় ছিল না কোনো নিষেধাজ্ঞা।

বেইলি আরো একটি বিষয় এড়িয়ে যাবার জন্য পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তা হলো বাথরুমে সেলফি তোলা। তার যুক্তি হলো, কেউ আরেক জনের বাথরুম দেখে স্বস্তিবোধ করে না। তাই বাথরুম কিংবা কিচেনে সেলফি না তোলাই শ্রেয়। তাছাড়া সেলিব্রেটিরা প্রায় ঘুম ভেঙেই সেলফি তুলে থাকেন। এটিও ঠিক নয়। বেইলির ভাষায়, ‘কেউ আপনার হাই তোলা ছবি দেখায় আগ্রহী নয়। তাই বিছানা, বাথরুম আর টয়লেটকে ব্যাকগ্রাউন্ডে রেখে ছবি তোলা বন্ধ করুন।‘

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।