বিদেশমুখীর হার কমেছে, বেড়েছে পল্লীতে স্থানান্তর
দেশের অর্থনৈতিক চাকা সচল রাখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিদের পাঠানো রেমিট্যান্স। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিদেশে যাওয়ার হার কমেছে।
শুধু তাই নয়, বহির্বিশ্ব থেকে বাংলাদেশে আসার হারও কমেছে। কমেছে শহরে স্থানান্তরের হার। বিপরীতে বেড়েছে পল্লীতে স্থানান্তরের হার।
আজ বুধবার (১২ জুন) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। ‘রিপোর্ট অন বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস ২০১৮ : মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ (এমএসভিএসবি) (দ্বিতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পের ফলে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়। আদমশুমারির মধ্যবর্তী অবস্থা তুলে ধরতে এই প্রকল্প নেয়া হয়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮ সালে বিদেশ গেছেন প্রতি হাজারে ৭২ দশমিক ৪ জন, ২০১৭ সালে গেছে ৭৪ দশমিক ৩ জন। অর্থাৎ হাজারে প্রায় ২ জন কম যাচ্ছেন বহির্বিশ্বে।
আর ২০১৬ সালে প্রতি হাজারে গেছেন ৭৮ দশমিক ৫ জন, ২০১৫-তে ৫৪ দশমিক ৪ জন এবং ২০১৪-তে ৪৩ দশমিক ১ জন।
২০১৮ সালে গ্রাম থেকে বিদেশ গেছেন প্রতি হাজারে ৩৯ দশমিক ৫ জন এবং শহর থেকে গেছেন ১১৩ দশমিক ১ জন।
বহির্বিশ্ব থেকে দেশে আসার বিষয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালে বিদেশ থেকে দেশে এসেছেন প্রতি হাজারে ৭২ দশমিক ৮ জন। ২০১৭-তে এ সংখ্যা ছিল ৭৩ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ বহির্দেশ থেকে আগমনের হার কমেছে।
বেড়েছে পল্লী এলাকায় স্থানান্তরের হার
পল্লী এলাকায় স্থানান্তরের হার প্রতি হাজারে ৩৮ দশমিক ৬ জন। যা ২০১৭ সালে ছিল ৩৭ দশমিক ৮ জন। অর্থাৎ পল্লী এলাকায় স্থানান্তরের হার বেড়েছে।
এর মধ্যে পল্লী থেকে শহরে ৩৩ দশমিক ৬ জন এবং শহর থেকে পল্লীতে ৪ দশমিক ৯ জন স্থানান্তরিত হয়েছেন।
কমেছে শহরে স্থানান্তরের হার
২০১৮ সালে শহর এলাকায় স্থানান্তর হার প্রতি হাজারে ১১৫ দশমিক ২ জন। যা ২০১৭ সালে ছিল ১১৯ দশমিক ৪ জন। অর্থাৎ শহরে স্থানান্তর কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ।
এর মধ্যে পল্লী থেকে শহরে স্থানান্তর হার প্রতি হাজারে ৩০ দশমিক ৬ জন এবং শহর থেকে শহর পল্লীতে স্থানান্তর হার প্রতি হাজারে ৮৪ দশমিক ৬ জন।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, বিবিএসের মহাপরিচাক কৃষ্ণা গায়েন, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী, প্রকল্প পরিচালক আশরাফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পিডি/এসআর/এমকেএইচ