চাঁদ দেখা বিতর্কে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি সংসদে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৪৬ পিএম, ১১ জুন ২০১৯

দেশের কোথাও ঈদুল ফিতরের চাঁদ দেখা যায়নি এমন ঘোষণা দিয়ে ফের রাত ১১টায় চাঁদ দেখার ঘোষণা দেয়ায় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ ও জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-উর-রশিদ।

অন্যদিকে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে বালিশ কেনার তুঘলকি কারবার নিয়ে ৩০০ বিধিতে সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর বিবৃতির দাবি জানান।

মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এসব দাবি জানান।

বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন-উর-রশিদের বক্তব্যের সময় সরকারদলীয় সদস্যরা শেইম শেইম (লজ্জা লজ্জা) বলে প্রতিবাদ করতে থাকলে সংসদ কিছুক্ষণের জন্য উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্পিকার বার বার তাকে বক্তব্য শেষ করার জন্য অনুরোধ জানালেও তিনি বক্তব্য অব্যাহত রাখেন। এ সময় সাময়িকভাবে তার মাইকও বন্ধ করে দেয়া হয়।

ঈদের চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রাটের সমালোচনা করে হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাংলাদেশের রাষ্ট্রধর্ম হচ্ছে ইসলাম। ঈদের চাঁদ দেখা কমিটি রয়েছে। চাঁদ দেখা যায় সন্ধ্যার সময়। ধর্ম প্রতিমন্ত্রী প্রথমে রাত ৯টায় ঘোষণা দিলেন, কোথাও চাঁদ দেখা যায়নি, ঈদ হবে না। ফের রাত সাড়ে ১১টার দিকে হঠাৎ করেই বলা হলো, চাঁদ দেখা গেছে, কাল ঈদ। এ নিয়ে জনমনে মারাত্মক ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে। আর ধর্ম যার যার, উৎসব সবার- এ কথা যারা বলেন তাদের জ্ঞানের অভাব রয়েছে।

তিনি বলেন, এ কথাটি যদি মানতে হয় তাহলে রাষ্ট্রধর্ম বাতিল করা উচিত। চাঁদ দেখা নিয়ে বিভ্রাটের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলে সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা তীব্র প্রতিবাদ জানান।

এদিকে জাতীয় পার্টির পীর ফজলুর রহমান বলেন, ৭৫-বঙ্গবন্ধু হত্যার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশে মদ-জুয়ার লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। জঙ্গিবাদ, বাংলা ভাই-শায়খ আবদুর রহমানদের তৎপরতা বিএনপি আমলে দেশবাসী দেখেছে।

তিনি বলেন, ঈদে চাঁদ দেখানো নিয়ে জনগণকে ভোগান্তি দেয়া হয়েছে। আর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুত কেন্দ্রে বালিশের দাম নিয়ে সারাদেশে তোলপাড় চলছে।

এইচএস/জেএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।