পেনশনে সুবিধা বাড়ল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৫০ পিএম, ১১ জুন ২০১৯

জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ জারির ফলে ৬৫ ঊর্ধ্ব পেনশনারের পেনশন ও চিকিৎসা ভাতার হার নির্ধারণের বিষয়ে উদ্ভূত সমস্যা নিরসনে মতামত দিয়েছে অর্থ বিভাগ।

মতামত অনুযায়ী, পেনশনভোগীর বয়স যে তারিখে ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হবে, সেদিন থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুনে প্রাপ্ত নিট পেনশনের ভিত্তিতে তাদের পেনশনের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে আড়াই হাজার টাকা হারে মাসিক চিকিৎসা ভাতা পাবেন তারা।

অর্থ বিভাগের উপ-সচিব আছমা আরা বেগম স্বাক্ষরিত এ মতামত পত্রটি গত ৩০ মে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ জুন) এটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ করেছে অর্থ বিভাগ।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মাসিক নিট পেনশনপ্রাপ্ত অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীর বয়স ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হওয়ার দিন থেকে ২০১৫ সালের ৩০ জুনে প্রাপ্ত নিট পেনশনের ভিত্তিতে তাদের পেনশনের পরিমাণ ৫০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। তবে ২০১৫ সালের ১ জুলাইয়ের আগে যাদের বয়স ৬৫ বছরের কম ছিল, তাদের পেনশনের পরিমাণ প্রথমে ২০১৫ সালের ৩০ জুনে প্রাপ্ত নিট পেনশনের ওপর ২০১৫ সালের ১ জুলাই ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।

আরও পড়ুন> শিক্ষিত বেকারদের ভাতা দেয়ার পরিকল্পনা নেই সরকারের

একই সঙ্গে, যে তারিখে তাদের বয়স ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হবে, সে দিন থেকে পেনশন ২০১৫ সালের ৩০ জুনে প্রাপ্ত নিট পেনশনের ভিত্তিতে অবশিষ্ট ১০ শতাংশ বৃদ্ধি প্রদেয় হবে। মাসিক নিট পেনশনপ্রাপ্ত অবসরভোগী ও আজীবন পারিবারিক পেনশনভোগীদের বয়স ৬৫ বছর ১ দিন পূর্ণ হওয়ার দিন থেকে তারা আড়াই হাজার টাকা হারে মাসিক চিকিৎসা ভাতা পাবেন।

এছাড়া যে সকল পেনশনার প্রতি বছর ১ জুলাই নিট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট (বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি) পাওয়ার পর একই বছরে ৬৫ বছর ঊর্ধ্ব বয়সে উপনীত হবেন, তাদের ক্ষেত্রে একই বছরে অবশিষ্ট ১০ শতাংশ বৃদ্ধিজনিত কারণে দুই বার নিট পেনশন বৃদ্ধির অপশন অনলাইনে চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

একইভাবে উক্ত পেনশনার একই বছরে যে তারিখে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সে উপনীত হবেন, সে তারিখ থেকে চিকিৎসা ভাতা মাসিক ২ হাজার টাকা হারে প্রাপ্তির অপশন অনলাইনে চালু করতে হবে।

এমইউএইচ/এমএসএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।