বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার উম্মুক্ত রেখে বিল পাস
বিদেশি বিনিয়োগের দ্বার উম্মুক্ত রেখে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন-২০১৫ বা পিপিপি আইন বিল সোমবার জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাস হয়েছে। সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সরকারের কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বিলটি আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির সুপারিশ আকারে পাস করার প্রস্তাব করেন।
এর আগে বিলটির ওপর আনা সংশোধনী ও বাছাই কমিটিতে প্রেরণের প্রস্তাব কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।
বিলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগে আকৃষ্ট করে সরকারি বেসরকারি অংশিদারিত্ব সৃষ্টির আইনি কাঠামো সৃষ্টি করতে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বা পিপিপি কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠার বিধান করা হয়। পিপিপি কর্তৃপক্ষ হবে একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। এই সংস্থার কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি বোর্ড অব গভর্নরস গঠনেরও বিধান রাখা হয়েছে। যেন পিপিপির কোনো প্রকল্প বাস্তবায়নে কালক্ষেপন না হয় এজন্য বোর্ডের সভায় সভাপতিত্ব করেবন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া পিপিপি কৃর্তপক্ষ এ বিষয়ে দেশে বিদেশে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজন করতে পারবে। পিপিপি প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো দুর্নীতিমূলক অপরাধ সংঘটিত হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাসহ চাকরিবিধি অনুযায়ী বিভাগীয় মামলা হবে। দরপত্র মূল্যায়নে কোনো অনিয়ম হলে তা চক্রান্তমূলক কার্য হিসেবে দূুর্নীতির দোষে দুষ্ট হবে। তবে বিলে পিপিপি কর্তৃপক্ষকে দরপত্র প্রক্রিয়া ও অনুমোদন সংশ্লিষ্ট দলিল-দস্তাবেজ গোপনীয়তা সংরক্ষণের অধিকার দেওয়া হয়েছে।
বিলটি দশম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে (১-২-১৫) উত্থাপিত হয়। এরপর আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটি বিলটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ৪৪টি ক্রমিকে বিভিন্ন দফায় সংশোধনী প্রস্তাব আনেন।
এর আগে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে সরকার ২০১০ সালে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য পলিসি অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজি ফর পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) প্রণয়ন করে। পিপিপি উদ্যোগে বর্তমানে বিভিন্ন সেক্টরে ৪২টি প্রকল্পের বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এসব প্রকল্পের মধ্যে যেগুলো চলমান রয়েছে তা এই আইন বলে প্রতিষ্ঠিত কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়ন করবে।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সর্ম্পকিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও জীবন মান উন্নয়নের স্বার্থে আর্থ সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং বিভিন্ন খাতের অবকাঠামো নির্মাণসহ সেবাখাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অংশগ্রহণ নিশ্চিত এবং সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব সৃষ্টির আইনি কাঠামো প্রদান এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান প্রণয়নে সরকারি বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন ২০১৫ প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এইচএস/একে/এমএস