ইইউ পার্লামেন্টে ইবিএ ফ্যাসালিটি নিয়ে আলোচনা হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:২১ পিএম, ১০ জুন ২০১৯

ইউরোপিয়ান নতুন পার্লামেন্টে বাংলাদেশের ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ (ইবিএ) ফ্যাসালিটি নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে সফররত ইইউ’র মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর।

সোমবার (১০ জুন) রাজধানীর গুলশানে আইনমন্ত্রীর বাসভবনে মন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে। সাক্ষাৎকালে ইইউ’র মানবাধিকার বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি অ্যামন গিলমোর মন্ত্রীকে এ তথ্য জানান।

বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত চলা বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ও নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি ওঠে আসে।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সবগুলো বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে। তিনি আমাকে জানান, আগামী নতুন যে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট হচ্ছে সেখানে আমাদের যে ইবিএ ফ্যাসালিটি এভরিথিং বাট আর্মস সেই ফ্যাসালিটির ব্যাপারে আলোচনা হবে।

তিনি বলেন, আমাদের যে এভরিথিং বাট আর্মস ফ্যাসালিটির ব্যাপারে আলোচনা হবে -সেই আলোচনার কারণে এই কানসার্নগুলো উঠতে পারে বলেই তিনি আমার সাথে এ বিষয়ে আলোচনা করেন।

মন্ত্রী বলেন, আমরা অনেক বিষয়ে আলাপ করেছি। এর মধ্যে প্রধান বিষয় হচ্ছে রোহিঙ্গা ইস্যু। উনি আগামীকাল (মঙ্গলবার) কক্সবাজার যাবেন। প্রত্যক্ষভাবে দেখার জন্য, ওখানে কী হচ্ছে। কক্সবাজার সফর শেষে মিয়ানমার যাবেন। মিয়ানমার যাওয়ার আগে নিজের চোখে দেখতে এসেছেন রোহিঙ্গাদের অবস্থা কী, আমি সেটাকে সাধুবাদ জানাই।

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ওনার সঙ্গে রোহিঙ্গা বিষয়ে আলাপ করার সময় গতকাল প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো বলেছেন আমি সেই কথাগুলো তুলে ধরেছি। আমরা যে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তন চাই, সেই সম্বন্ধে জোর দিয়ে কথা বলেছি। ওনাকে অনুরোধ করেছি, মিয়ানমারের সাথে যেন তিনি এ ব্যাপারে কথা বলেন।

আনিসুল হক বলেন, আরও কিছু কথা ওনাদের ছিল সেটা হচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কিছু বক্তব্য যেটা উনি আমাকে জানান। সেটা হচ্ছে, উনি যে ভাষায় আমাকে জানালেন ‘কনসার্ন’। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আমার সাথে কথা হয়েছে। আমি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ইতিহাস আদ্যোপান্ত বলেছি। এটাও পরিষ্কারভাবে বলেছি, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটির জন্য, সাইবার ক্রাইম রোধের জন্য। এটা ফ্রিডম অব প্রেস বা ফ্রিডম অব স্পিচ কার্ভ করার জন্য নয়। বাকস্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য নয়, সেটা আমি পরিষ্কার করে বলেছি।

তিনি বলেন, আমি এটা এপ্রিসিয়েট করি, উনি নুসরাত হত্যা মামলার কথাও বলেছেন। আমি সেখানেও তাকে নুসরাত হত্যা মামলার আজকে পর্যন্ত যেই অগ্রগতি হয়েছে সেটা জানিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সবাই যে এটার ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছি সেটাও জানিয়েছি।

আইনমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিষয়েও কথা হয়েছে। আমি পরিষ্কার বলেছি, খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের আদালত আইনমাফিক সাজা দিয়েছে। সেই সাজা হাইকোর্ট বাড়িয়েছেন। আইনের শাসনের কারণে এবং হাইকোর্ট ও বিচারিক আদালত সাজা দেয়ার কারণেই খালেদা জিয়া জেলে। এখানে সরকারের কিছু করার নেই। এতিমের টাকা চুরি করে অভিযুক্ত হয়ে সেখানে সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের পরে আদালতের বিবেচনায় তিনি দোষী সাব্যস্ত হওয়ার কারণে আজকে জেলে আছেন। সেখানে তাকে ছাড়া বা না ছাড়ার ব্যাপারে সরকারের কোনো ভূমিকা নেই।

এইউএ/আরএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।