এখনও রাস্তা ফাঁকা তবে আড়মোড়া ভাঙছে রাজধানীর

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০১:০৭ পিএম, ০৭ জুন ২০১৯

ঈদের তৃতীয় দিনেও (শুক্রবার) রাজধানীর রাস্তাঘাট অধিকাংশ ফাঁকা। নগরবাসী আজও নির্বিঘ্নে শহরে ঘুরে বেড়াতে পারছেন। তবে গত দুই দিনের চেয়ে আজ রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে।

গত দুদিন পুরোপুরি বন্ধ থাকলেও আজ কোনো কোনো এলাকায় সীমিত পরিসরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও দোকানপাট খুলে পরিষ্কার ও ধোয়ামোছা করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে রাস্তার পাশে চা ও পানের দোকান খুলতে দেখা যায়।

ঈদের ছুটি এখনও শেষ না হলেও অনেকে আগেভাগেই ঢাকায় ফিরছেন। কমলাপুর রেল স্টেশন, সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল ও বিভিন্ন বাস স্টেশনে রাজধানীতে ফেরা মানুষের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে।

Dhaka-Road

যারা ফিরছেন তারা জানান, শনিবার পর্যন্ত ছুটি থাকলেও ভিড় এড়াতে একদিন আগেই এসেছেন। আবার অনেকে ছুটি কম পাওয়ায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান।

সকালে ধানমন্ডি, রমনা, তেজগাঁও ও লালবাগের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ফাঁকা রাস্তায় অনেকেই পরিবার পরিজন বিশেষ করে শিশুদের নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছেন। গত দুই দিনের তুলনায় গণপরিবহনের সংখ্যা কিছু বাড়লেও প্রতিটি যানবাহনই ছিল ফাঁকা। ঈদের আগে প্রতিটি বাস যাত্রীতে ঠাসা থাকলেও এখন হেলপাররা গলা ফাটিয়ে ডেকেও যাত্রী খুঁজে পাচ্ছেন না।

Dhaka-Road

রাজধানীর নীলক্ষেতে আলম নামে একটি ফটোকপির দোকানের কর্মচারী জানান, গ্রামের বাড়িতে ছুটি কাটিয়ে সকালে ফিরেই দোকান খুলেছি। কাস্টমার না এলেও আজ দোকান পরিষ্কার করে প্রস্তুতি নিচ্ছি। কাল শনিবার থেকেই রাজধানী স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Dhaka-Road

শাহবাগের অদূরে কাঁটাবন মসজিদের পাশে লিচু বিক্রেতা সোলেমান জানান, এখন লিচুর মৌসুম। লিচু পচনশীল হওয়ায় ঈদের আগে কেনা লিচু বিক্রির আশায় নিয়ে বসে রয়েছি। প্রতি একশ চায়না-৩ লিচু ৫০০ ও দেশীয় লিচু ৩০০ টাকা বিক্রি করছি। টুকটাক বিক্রিও হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Dhaka-Road

ধানমন্ডি ৩ নম্বর রোডে চা-পানের দোকানি আলী হোসেন জানান, ঈদের দুই দিন তেমন মানুষ না থাকলেও ধানমন্ডি এলাকায় আজ মানুষের যাতায়াত বেশ ভালো। তাই ছুটির পর আজ দোকান খুলেছি।

এমইউ/এএইচ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।