কিশোর চালকের বেপরোয়া গতিতে ফুটপাতে গাড়ি, হাসপাতালে পথচারী
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে কিশোর চালকের বেপরোয়া গতিতে আহত হয়েছেন মিজানুর রহমান নামে এক পথচারী। বিমানবন্দরের সামনে থেকে খিলক্ষেতের দিকে যাওয়ার পথে বেপরোয়া গতির কারণে একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৪-৩০০৯) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের উঁচু ফুটপাতে উঠে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানিয়েছে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজালাল বিমানবন্দর মোড় পার হয়ে একটি টয়োটা প্রাইভেট কার খিলক্ষেতের দিকে বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। গাড়িতে চালকসহ মোট দুই জন ছিল। তারা উভয়েই কিশোর। এক পর্যায়ে অতিরিক্ত গতির কারণে চালকের আসনে থাকা কিশোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে গাড়িটি বিকট শব্দে পাশের উঁচু ফুটপথে আছড়ে। এ সময় ওই ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়া মিজানুর রহমান নামে এক ব্যক্তি গাড়ির ধাক্কায় আহত হন এবং গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। তবে গাড়িতে থাকা দুই জনই ভেতর থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে সক্ষম হয়।
তারা আরও জানান, ওই দুই কিশোরকে দেখে কিছুটা মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে মনে হয়েছে। এরপর আহত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খিলক্ষেত থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শামীমুল ইসলাম জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন যে গাড়ি চালাচ্ছিল তার বাবা একজন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা ।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখতে পান সেখানে দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি ছাড়া কিছুই নেই। পুলিশ জানতে পেরেছে গাড়িতে থাকা দুই জনই কিশোর ছিল। আহত মিজানুর রহমান নবাবপুরের মাংস ব্যবসায়ী।
তিনি আরও বলেন, খবর নিয়ে জানতে পারি চালকের আসনে থাকা কিশোরের বাবা সেনাবাহিনীর একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল। তারা মিরপুর ডিওএইচএসে থাকেন। ছেলের কাছ থেকে মোবাইলে দুর্ঘটনার শিকার মিজানুর রহমানকে তার নির্দেশনায় প্রথমে সিএমইচে নেয়া হয়। পরে সেখান থেকে পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ব্যক্তির চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়েছেন সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা।
এসআই শামীমুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলের লোকজন গাড়িতে থাকা উভয়েই কিশোর এবং মদ্যপ অবস্থায় ছিল বললেও সাবেক ওই সেনা কর্মকর্তা বলেছেন তার ছেলের গাড়ি চালানোর মত যথেষ্ট বয়স হয়েছে। এছাড়া তার ছেলে ও সঙ্গে থাকা অপরজন মদ্যপ অবস্থায় ছিল না বলে দাবি করে তিনি বলেছেন আহত ব্যক্তির সঙ্গে তাদের মিটমাট হয়েছে, তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছি।
শামীমুল ইসলাম আরও বলেছেন, পরে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিজানুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুলিশকে জানিয়েছেন গাড়ির মালিক তার চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছেন। একারণে তিনি কোনো মামলা করবেন না। সুতরাং এ ঘটনায় থানায় মামলা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।
আরএমএম/এমএমজেড/পিআর