শান্তিপূর্ণ সমাজ নির্মাণে ইসলামের আদর্শ সমুন্নত রাখার আহ্বান

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ০৫ জুন ২০১৯

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ইসলামকে শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম হিসেবে উল্লেখ করে সবার মাঝে এই মহান ধর্মের মহত্ব ও আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বুধবার সকালে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘এখানে হিংসা-বিদ্বেষ ও সহিংসতার কোনো জায়গা নেই।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ইসলাম এমন এক ধর্ম যেখানে মানবিক মূল্যবোধ, শান্তিপূর্ণ সহঅবস্থান, পরম সহিষ্ণুতা, সাম্য, বন্ধুত্ব ও শাশ্বত কল্যাণের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আবদুল হামিদ বলেন, ঈদুল ফিতরের মর্মার্থ হচ্ছে শান্তিপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণ, যা ধনী-দরিদ্র, আমির-ফকির সব শ্রেণির লোকদের এক কাতারে নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ এক মাস রোজা শেষে পবিত্র ঈদ ধনী-নির্ধন, উঁচু-নিচু নির্বিশেষে সব শ্রেণির লোকদের মাঝে ভালোবাসা, সম্প্রীতি ও ঐক্যের সুদৃঢ় বন্ধন তৈরি করে।’

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও তার পত্নী রাশিদা খানম আহুত এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত চলে।

ঈদুল ফিতরের এই শিক্ষা সবার মাঝে ছড়িয়ে যাবে এবং একটি সুখী ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ নির্মাণে সহায়ক হবে বলেও রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন।

অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহ, তিন বাহিনীর প্রধানরা, সংসদ সদস্য, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), বিচারপতিরা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা, ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, সিনিয়র সাংবাদিক, শিল্পীরা এবং ঊর্ধ্বতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

তাছাড়া কূটনৈতিক কোরের ডিন, বাংলাদেশে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের প্রধানরাও অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

সূত্র : বাসস

জেএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।