বায়তুল মোকাররমে ঈদ জামাতে মুসল্লিদের ঢল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৮:৪৩ এএম, ০৫ জুন ২০১৯

 

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদুল ফিতরের জামাতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজারো মুসল্লি শামিল হয়েছেন। বায়তুল মোকাররমে পাঁচটি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রথম জামাত হয় সকাল ৭টায়।

দ্বিতীয় জামাত সকাল ৮টায়, তৃতীয় জামাত সকাল ৯টায়, চতুর্থ জামাত সকাল ১০টায় এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Baytulmokarom

 

সকাল ৭টায় প্রথম জামাতে মুসল্লিদের ঢল নামে। সকাল সাড়ে ৭টায় দ্বিতীয় জামাতের সময় বিপুল সংখ্যক মুসল্লিকে মসজিদের বাইরে নামাজের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ গেটের সিড়িও ছিল মুসল্লিপূর্ণ। অনেকে প্রথম জামাতে অংশ নেয়ার উদ্দেশ্যে এলেও জায়গা না পেয়ে দ্বিতীয় জামাতে শামিল হন তারা। অন্যান্য জামাতগুলোতেও বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।

আজিমপুর থেকে বায়তুল মোকররমে প্রথম জামাতে অংশ নিয়েছেন শামীম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী বাড়ি পুরনো ঢাকাতেই। ঈদের নামাজটা আমি বায়তুল মোকারমে পড়ার চেষ্টা করি। একসঙ্গে অনেক মানুষের সঙ্গে নামাজ পড়ায় বিশেষ একটা অনুভূতি আছে।’

Baytulmokarom

 

অসংখ্য শিশুদেরও বায়তুল মুকাররমের ঈদের জামাতে শামিল হতে দেখা গেছে।

প্রথম জামাতে ইমামতি করেছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী।

Baytulmokarom

 

এরপর দ্বিতীয় জামাতে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম, তৃতীয় জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মাওলানা মুশতাক আহমাদ, চতুর্থ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস মুফতি মাওলানা ওয়ালীয়ূর রহমান খান এবং পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মাওলানা জুবাইর আহাম্মদ আল আযহারী ইমামতি করেন।

আবেগে আপ্লুত মুসল্লিরা চোখের জলে মুনাজাতে গুনাহ থেকে আল্লাহর কাছে মাফ চান। এছাড়া মুনাজাতে দেশ ও জাতির জন্য কল্যাণ কামনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করা হয়।

Baytulmokarom

দ্বিতীয় জামাতের আগে বায়তুল মোকাররম মসজিদের খাদেম আবদুল জলিল বলেন, আমাদের ধারণা প্রথম জামাতে একসঙ্গে ২০ হাজারেরও বেশি মুসল্লি নামাজ পড়েছেন। দ্বিতীয় জামাতেও মুসল্লি হবে বলে আশা করছি।

জাতীয় মসজিদে প্রবেশের দু'টি গেইটেই নিরাপত্তা ব্যবস্থার কড়াকড়ি ছিল। আর্চওয়ের মধ্য দিয়ে সারি ধরে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করতে হয়েছে। কাউকে সন্দেহ হলে তার দেশে তল্লাশি চলাচ্ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মসজিদে সকাল ৮টা থেকে বিভিন্ন সময়ে ঈদুল ফিতরের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। হাইকোর্টের সামনে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল সাড়ে ৮টায়।

আরএমএম/এসএইচএস/পিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।