৩ তরুণের নতুন প্রজন্ম পাঠশালা


প্রকাশিত: ০৯:০২ এএম, ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫

রাজশাহী মহানগরীর কোর্ট স্টেশন এলাকায় ‘আমরা নতুন প্রজন্ম’এর উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে বিনা পয়সার পাঠশালা। যেসব শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত, তারা যেন অন্তত লিখতে ও পড়তে পারে এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বিনা পয়সার পাঠশালাটি গড়ে তোলা হয়েছে।

পাঠশালাটির সদস্যরা এলাকার লেখাপড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত শিশুদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের লেখাপড়ার জন্য উৎসাহিত করছেন। ওই সব শিশুদের বিনা পয়সায় লেখাপড়ার  সুযোগ হবে বলে তাদের বাড়িতে বলে আসেন। এছাড়াও এলাকার অভিভাবকদের তাদের শিশুদের বিনা পয়সার পাঠশালায় পাঠানোর জন্যে অনুরোধ করা হয়। অল্প কয়েক মাসের প্রচেষ্টায় ৩৫জন শিক্ষার্থী এখন ওই বিনা পয়সার পাঠশালায় পড়াশুনা করছে।

পাঠশালাটির শিক্ষার্থী রনি ও মানিক জাগো নিউজকে জানান, পাঠশালা থেকে তাদের বই, খাতা, কলম দেয়া হচ্ছে। স্যার ম্যাডামরা তাদের ডেকে ডেকে পড়ান। তারা এই সুযোগ পাওয়ায় অনেকে খুশি। এখন তারা বাংলা ইংরেজি অঙ্কের অক্ষর চিনতে পারছে। আর কিছু দিন পড়লে তারা লিখতে ও পড়তে পারবে বলে আশা রাখছি আমরা।

পাঠশালার তিনজন শিক্ষক হলেন, জাহাঙ্গীর আলম কনক, সাইলা হক এমি ও সুমন আলী

পাঠশালাটির শিক্ষক সাইলা হক এমি জাগো নিউজকে জানান, প্রতিদিন বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এখানে কোনো প্রকার খরচ ছাড়াই লেখাপড়া শেখানো হয়। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বর্তমানে পাঠশালাটিতে ৩৫ জন শিক্ষার্থী হয়েছে। একেবারে অক্ষর থেকে শুরু করে তাদের পড়ানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরাও লেখাপড়ায় খুবই আগ্রহী। অল্প কিছুদিনের মধ্যে তারা লিখতে ও পড়তে পারবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।

আমরা নতুন প্রজন্মের সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সমাজ সেবক আজিজুল আলম বেন্টু জাগো নিউজকে জানান, মহানগরীর রেল লাইনের পাশে অনেক মানুষ আছেন যারা নিজেরা তাদের সন্তানদের অক্ষর জ্ঞান থেকে বঞ্চিত করছেন। তারা যেন অন্তত নিরক্ষর না থাকে এই লক্ষ্যে গত এক বছর থেকে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কোর্ট এলাকার বাড়িসহ ছিন্নমূল মানুষদের বুঝিয়ে তাদের নিরক্ষর ছেলে মেয়েদের এই পাঠশালায় নিয়ে আসা হয়েছে। গত আগষ্ট মাসে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।

এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।