স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসা ফুটপাতের দোকান

রফিক মজুমদার
রফিক মজুমদার রফিক মজুমদার , জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:১৩ পিএম, ৩১ মে ২০১৯

রমজান শেষের দিকে। ঈদুল ফিতরের বাকি আর পাঁচ দিন। শেষ মুহূর্তে ঈদের কেনাকাটা জমে উঠেছে। এবারের ঈদ কেনাকাটায় এগিয়ে আছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও চলছে কেনাকাটার ধুম। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষের প্রধান ভরসা হিসেবে দেখা দিয়েছে রাজধানীর ফুতপাতের বাজার। ঈদকে সামনে রেখে পুলিশি তৎপরতা কিছুটা কম বলে দিব্বি চলছে ফুটপাতের কেনাকাটা।

বনানী পোস্ট অফিস গলিতে শার্ট ও প্যান্টের পসরা সাজিয়ে বসেছেন হানিফ নামে এক ফুটপাত ব্যাবসায়ী। তিনি জানান, বিক্রি ভালোই হচ্ছে। পুলিশি কড়াকড়ি নেই তেমন। সকাল থেকেই ক্রেতা সমাগম শুরু হয়েছে। মাঝে জুম্মার নামাজের সময় বিক্রি কিছুটা বন্ধ ছিল। তবে নামাজের পর আবার ক্রেতা সমাগম বেড়েছে।

Footpath-2

ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা দম ফেলার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঈদের দিন যতোই এগিয়ে আসছে বিক্রিও ততোই বাড়ছে তাদের। রাজধানীর বড় বড় শপিংমল ও বিপণি-বিতানগুলোতে লেগে আছে ঈদের ভিড়।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকার রজনীগন্ধা সুপার মার্কেটের পাশের ফুটপাত থেকে দুই জোড়া জুতা কিনেছেন আমির হোসেন। তিনি জানান, সস্তা মনে হলো, তাই বাচ্চাদের জন্য দুই জোড়া জুতা কিনলাম। দাম জানতে চাইলে বলেন, দুই জোড়া জুতা ছয়শ টাকা নিয়েছে।

উল্লেখ্য, ঈদের কেনাকাটায় বিত্তবানদের জন্য না হলেও, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যদের জন্য অনেকটাই আশীর্বাদ রাজধানীর ফুটপাতের বাজার। নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পরিবারের সদস্যদের জন্য সাধ্যের মধ্যে সেরাটা খুঁজে নেন এই ফুটপাতের দোকান থেকে।

Footpath-3

রাজধানী জুড়ে প্রায় অর্ধশত রাস্তার ফুটপাতে চলছে ঈদের কেনাবেচা। এর মধ্যে মধ্যে জমে উঠেছে দৈনিক বাংলা মোড়, মতিঝিল জনতা ব্যাংকের সামনে, মতিঝিল শাপলা চত্বরের চারদিকের ফুটপাত, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর-পশ্চিম গেটের সামনে, ফকিরাপুল এলাকা, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ হকার্স সমিতি মার্কেট, গুলিস্তান মোড়ের চারপাশের ফুটপাত, নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কের ফুটপাত, গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত, বঙ্গবাজার, নিউ মার্কেট, গাউছিয়া, চাঁদনীচকের ফুটপাতেও উঠেছে ঈদের বেচাকেনা।

আরএম/এমএসএইচ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।