দরিদ্র জেলেদের নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখার দাবি
বঙ্গোপসাগরে ৬৫ দিন মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা থেকে দরিদ্র জেলেদের বাইরে রাখার দাবি জানিয়েছে অধিকারভিত্তিক নাগরিক সমাজ।
বৃহস্পতিবার (৩০ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কোস্ট ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক জোট যৌথভাবে আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বঙ্গোপসাগরে জীব বৈচিত্রের ক্ষতির জন্য দরিদ্র জেলেরা মাত্র ৪ শতাংশ দায়ী। অথচ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তারা। প্লাস্টিক দূষণ, তেল পরিবহন, জাহাজ ভাঙা শিল্প ইত্যাদি সাগর দূষণের জন্য ৯৬ শতাংশ দায়ী হলেও তাদেরকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার কোনো উদ্যোগ নেই।
মানববন্ধনে আয়োজক সংগঠনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- দরিদ্র ও প্রান্তিক জেলে, যারা ছোট নৌকা দিয়ে উপকূলের কাছাকাছি মাছ আহরণ করেন, তাদের এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখতে হবে। বঙ্গোপসাগরে মৎস্য ও প্রাকৃতিক সম্পদ, বাস্তুসংস্থান ও জীব বৈচিত্রের জন্য বড় হুমকি জাহাজশিল্প, বিদেশি জাহাজের দূষণ ইত্যাদির উপর পরিবেশগত জরিপ (এনভায়রনমেন্টাল ইমপ্যাক্ট এসেসমেন্ট) করতে হবে এবং তা প্রতিরোধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে, মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞাকালীন সময় ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভাতা জেলে পরিবারের জন্য বরাদ্দ করতে হবে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন ও সাধারণ সময়ে বিদেশি জেলেদের দেশের সমুদ্রসীমায় অনুপ্রবেশ বন্ধ এবং কঠোর নজরদারি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মাছ ধরার সব নৌযানকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে।
মানবনন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মৎস্য শ্রমিক জোটের সমন্বয়কারী মজিবুল হক মনির, কোস্ট ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল আলম প্রমুখ।
এএস/এএইচ/এমকেএইচ