ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি
ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য ও সড়ক দুর্ঘটনা বন্ধে সম্মিলিত পদক্ষেপ চাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়।
এছাড়াও যানজট নিরসনে আগামী পাঁচ বছর কী পরিমাণ গাড়ি এই দেশে চলবে তা নির্ধারণ করা উচিত বলে মত দিয়েছেন বক্তারা।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, যানজটের কারণে যাত্রীবাহী বাসগুলো কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক টিপ দিতে পারে না, তা পুষিয়ে নিতে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা শিকার হয়। যার ফলে প্রতিবছর ঈদযাত্রা মৃত্যুর মিছিলে পরিণত হয়। ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী গাড়িতে নিম্ন লোকজনের যাতায়াত কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না।
গোলটেবিল বৈঠকে মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, জনগণ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে পারছে না, কাউন্টার থেকে বলা হয় টিকিট শেষ। কিন্তু টেলিভিশনের স্ক্রলে দেখা যাচ্ছে ২৩ হাজার টিকিট এখনও অবিক্রীত। অন্যদিকে নতুন সংযোজন মোবাইলভিত্তিক অ্যাপসেও টিকিট কাটতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে নাগরিকরা। এই জবাবদিহিতা কার কাছে পাওয়া যাবে?
বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান বলেন, যদি পরিবারকে আগে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া যায়, তবে ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তি মিলবে। কারণ সবাই যখন একসঙ্গে বাড়ি যেতে চায় তখন আর স্বস্তির কোন সুযোগ থাকে না, গাদাগাদি হয়ে যায়। বাসগুলো বেপরোয়া হয়ে যায় যাত্রী আনা নেয়ায়। লোকাল ট্রেনগুলোতে অন্তত ঈদের সময় পানি, বিদ্যুৎ এবং পাখার ব্যবস্থা করতে পারলে জনগণ অনেকটা স্বস্তি পেত ঈদযাত্রায়।
গোলটেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেলায়েত হোসেন, বিআরটিএর রোড সেফটি পরিচালক শেখ মোহাম্মদ মাহবুব-ই-রব্বানি, গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।
এএস/জেএইচ/জেআইএম