হামলার উদ্দেশ্য ছিল পুলিশের মনোবল ভেঙে দেয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ২৯ মে ২০১৯

মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, এখন পর্যন্ত ধারণা করা হচ্ছে পুলিশকে টার্গেট করে হামলা চালানো হয়েছিল। উদ্দেশ্য পুলিশকে ভয় দেখিয়ে মনোবল ভেঙে দেয়া, নাগরিকদের মধ্যে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করা।

বুধবার রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আইন-শৃঙ্খলা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার একথা বলেন।

তিনি বলেন, মালিবাগে পুলিশের গাড়িতে হামলার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এর ২০-২২ দিন আগে গুলিস্তানে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালনো হয়েছিল। দুটি বিষয়ই আমাদের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট তদন্ত করছে। ঘটনাস্থল থেকে বিস্ফোরণের নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। আশা করছি অচিরেই হামলার উদ্দেশ্য, কারা, কেন এবং কাদের টার্গেট করে করা হয়েছে বের হয়ে আসবে।

তিনি আরও বলেন, গুলিস্তান ও মালিবাগে দুটি ঘটনাতেই যেহেতু পুলিশকে টার্গেট করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবুও এর যোগসূত্র রয়েছে কি না বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়।

সভায় বাস মালিক ও শ্রমিকদের উদ্দেশে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে। বাসগুলো নির্বিঘ্নে ঢাকা ছাড়তে এবং ঢাকায় প্রবেশ করতে টার্মিনালের মুখগুলো ফাঁকা রাখতে হবে। পাসেঞ্জার লোড-অফলোড হবে টার্মিনালের ভেতরে। কোনো অবস্থায়ই রাস্তায় দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো যাবে না। আমরা টার্মিনালের সীমানাচিহ্ন নির্ধারণ করে দিয়েছি। কেউ ওই চিহ্নের বাইরে এসে যাত্রী উঠা-নামা ওঠালে বা নামালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ-বাস মালিকদের অংশগ্রহণে একটি সমন্বিত কমিটি করে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাস ছাড়ার আগেই ওই কমিটির সদস্যরা চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করবেন। যাতে কোনো ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামতে না পারে- বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে। সড়ক দুর্ঘটনা অনেক কমিয়ে এনেছি, এবার সকলের সার্বিক প্রচেষ্টায় দুর্ঘটনাকে আমরা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে চাই। এছাড়াও হকার বেশে অজ্ঞানপার্টির সদস্যরা যাত্রীদের কাছে আসবে, আর ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবকিছু লুট করে নেবে তা হতে পারে না। বাস-মালিক সমিতি ও টার্মিনাল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, আপনারা সুনির্দিষ্ট হকারের তালিকা করুন।

ঈদ উপলক্ষে নগরজুড়ে সমন্বিত-সুদৃঢ় নিরাপত্তা বলয়ের তৈরির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, নানাবিধ কলাকৌশলের মধ্য দিয়ে আমরা নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। শপিংমলগুলো সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে, প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো হয়েছে। নগরীজুড়ে পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। মোবাইল পেট্রোল ও চেকপোস্ট বাড়ানো হয়েছে।

এআর/এমএমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।