যারা পাস নম্বর পায় না তারা চিকিৎসক না হয়ে কসাই হবে


প্রকাশিত: ০৭:১৪ পিএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা যে সকল শিক্ষার্থী ন্যূনতম পাস নম্বর পায় না তাদের সুযোগ দেয়া হলে ভবিষ্যতে চিকিৎসক না হয়ে কসাই হবে। তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা নম্বর কমানার বিষয়ে কোনো আপোস করা হবে না। এ ক্ষেত্রে কোনো বিক্ষোভ বা চাপ সরকারকে পিছু হটাতে পারবে না।

রোববার রাজধানীতে ‘বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জন্স’ (বিসিপিএস) মিলনায়তনে ২০১৫ সালের জুলাই সেশনে এফসিপিএস এবং এমসিপিএস পাসকৃত চিকিৎসকদের মাঝে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। বিসিপিএস সভাপতি অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে প্রতিষ্ঠানের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বক্তৃতা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তৃতায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকার বেসরকারি খাতকে সব সময় উৎসাহ যোগাতে চায়। কিন্তু চিকিৎসা সেবা নিয়ে কোনো ব্যবসা চলে না। এ ক্ষেত্রে ন্যূনতম মান বজায় রাখতেই হবে। যারা নির্ধারিত ন্যূনতম পাস নম্বর অর্জন করতে পারে না, তারা চিকিৎসক না হয়ে কসাই হবে। তাদেরকে কোনোভাবে প্রশ্রয় দেয়া উচিত না।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদেরকে গ্রামে গিয়ে সেবা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকায় প্রয়োজনের তুলনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংখ্যা বেশি। ঢাকায় এমন হাসপাতালও আছে যেখানে রোগীর তুলনায় চিকিৎসক বেশি। অথচ দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সাধারণ মানুষ হাতের নাগালে বিশেষজ্ঞদের পান না।

যদি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা স্বেচ্ছায় ঢাকার বাইরে বদলি হয়ে যান তবে জেলা হাসপাতালগুলো সমৃদ্ধ হতো, দরিদ্র মানুষের কাছে উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার উদ্যোগ পরিপূর্ণতা পেতো বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ নাসিম ২০১৫ সালে এফসিপিএস ও এমসিপিএস পাস করা ২১২ জন ফেলো চিকিৎসকের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করেন। এর মধ্যে ১৮৮ জন এফসিপিএস পাস করেছেন। বিসিপিএস সভাপতি নতুন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের শপথ পাঠ করান।

এমইউ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।