ইজিতে ছেলেরা, রঙজয়ীতে মেতেছে সবাই

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৫:৫৩ পিএম, ২৮ মে ২০১৯

‘স্যার, আমাদের এখানে আসুন, দেখুন, একটা না একটা আপনার পছন্দ হবেই।’ এমন কথা শুনেই মিরপুর-১ ইজি শো-রুমে ঢুকে পড়েন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হানুল ইসলাম। বাবার জন্য পাঞ্জাবি, ছোট ভাইয়ের জন্য টি-শার্ট ও নিজের জন্য জিন্স এবং পলো শার্ট কেনেন তিনি।

বেরিয়ে যাওয়ার সময় জাগো নিউজকে বলেন, পাইকপাড়ায় থাকি। কেনাকাটা বলতে দৌড় দিতাম নিউমার্কেট, বসুন্ধরা অথবা মৌচাকে। কিন্তু হাতের কাছে বাড়ির পাশেই এতো বড় বড় মার্কেট আর ব্র্যান্ডের শো-রুম হয়েছে ভাবতেই পারি না। এখানে কেনাকাটায় মানের পোশাক পছন্দ হয়েছে দামেও।

jashim

ঈদুল ফিতর আসন্ন। তাই কেনাকাটায় ব্যস্ত সবাই। নগরীর প্রত্যেকটি মার্কেট, শপিংমল শো-রুম থেকে ফুটপাতও ব্যস্ত। বাদ নেই মিরপুর-১ এলাকার মার্কেটগুলোও।

মিরপুর-১ এ গড়ে উঠেছে ‘মিরপুর নিউমার্কেট’ নামে অত্যাধুনিক শপিংমল। চলন্ত সিঁড়ি, পুরো মার্কেট শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় ক্রেতারা এখানো স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে মিরপুর ও নিউমার্কেট শপিংমল ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতারা কেনাকাটায় ব্যস্ত। তবে পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও রঙ-বেরঙের শার্টের শো-রুম ইজিতে ছেলেদের আকর্ষণ বেশি। ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সীদের জন্য সব আইটেমই মিলছে ইজিতে।

jashim

ইজি শো-রুমের ম্যানেজার ইমরান হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের এখানে বিভিন্ন ডিজাইনের টি-শার্ট, অফকালার, এককালার পলো শার্ট রয়েছে। প্রিন্টের গোল গলা টি-শার্ট, জিন্স, গ্যাবাডিন প্যান্ট, প্রিন্ট ও কারচুপির পাঞ্জাবি, কাবলি টুপি সবই মিলছে এখানে। টি-শার্ট ৫০০ থেকে ৯৯০ টাকা, শার্ট ১ হাজার ৯০ থেকে ১ হাজার ৫৮০ এবং পাঞ্জাবি ১ হাজার ৬৯০ থেকে ২ হাজার ৪৮০ টাকার মধ্যে রয়েছে।

একই শপিংমলে সুপারশপের আদলে মেগামল এক্সক্লুসিভ ফ্যাশন হাউজ। জিরো থেকে শুরু করে সব ধরনের সব বয়সী মানুষের পোশাক, জুতা, কসমেটিক্স আইটেম বেবি আইটেম, খেলনার পসরা সাজিয়েছে রঙজয়ী মেগামল। হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকার মধ্যে থ্রি-পিস, ৪০০ থেকে ৪০ হাজার টাকারও শাড়ি মিলছে। ৪৫ হাজার টাকার দামি লেহেঙ্গাও মিলছে রঙজয়ী মেগামলে।

jashim

রঙজয়ী মেগামলটির ম্যানেজার শহীদুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, গত বছর নবনির্মিত মিরপুর নিউমার্কেটের নিচ তলায় আমাদের শো-রুমের যাত্রা শুরু। এবার খুবই জমজমাট কেনাকাটা হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় বেচাকেনা অনেক বেশি। ইফতারের পর কেনাকাটায় ক্রেতার সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত আমাদের শো-রুম খোলা থাকছে। ক্রেতাদের রুচি ও মান ও সামর্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় এখানে সব ধরনের পণ্যের পসরা সাজানো হয়েছে।

তবে নারী ক্রেতা স্বপ্না বেগম জানান, এখানে মেয়েদের থ্রি-পিস বেশ ভালো লেগেছে, শার্ট ও টি-শার্টও সামর্থ্যের মধ্যেই বলা যায়। কিন্তু বাচ্চাদের কাপড়ের দাম খুবই বেশি।

জেইউ/এমএসএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।