ধান শুকানো-সংরক্ষণে সারাদেশে হচ্ছে ২০০ সাইলো

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১২:০৫ পিএম, ২৭ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

ধান শুকানো, সংরক্ষণ ও অন্যান্য সুবিধাদিসহ সারাদেশে ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গত ১৯ মে খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পর্যালোচনা সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

স্টিলের ‘পেডি সাইলো’ নির্মাণের জন্য জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে চিঠি পাঠিয়ে বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে খাদ্য অধিদফতর।

খাদ্য অধিদফতর থেকে জানা গেছে, ৫ হাজার টন ধান ধারণক্ষমতার এসব সাইলোতে ধান ২ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। প্রতিটি সাইলো নির্মাণে ব্যয় হবে ৭ কোটি টাকা। এ সংক্রান্ত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) তৈরি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। এটি অনুমোদনের জন্য শিগগিরই পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে।

বর্তমানে ধান সংরক্ষণের জন্য সরকারের আলাদা কোনো গুদাম বা সংরক্ষণাগার নেই। ধান শুকানো ও সংরক্ষণের সাইলো নির্মাণ কৃষককে ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সাইলো হচ্ছে এমন এক ধরণের ধাতব উচু টাওয়ার সদৃশ কাঠামো যেখানে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হয়।

খাদ্য অধিদফতরের পরিদর্শন, উন্নয়ন ও কারিগরি সেবা বিভাগ থেকে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে খাদ্য সংকট মোকাবেলার জন্য খাদ্য অধিদফতরের আওতায় বিভিন্ন এলএসডি (লোকাল স্টোরেজ ডিপো), সিএসডি (সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো) বা সাইলোতে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বৃষ্টির কারণে অনেক সময় খাদ্যশস্য মাঠ থেকে কাটার পর মাড়াই ও শুকানো সম্ভব হয় না। ফলে প্রচুর পরিমাণ ধান নষ্ট হয়ে যায় এবং কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়াও বর্তমান বোরো মৌসুমে ধানের ভালো ফলন লক্ষ করা যাচ্ছে। বাজারে ধানের সরবরাহ বেশি হওয়ায় কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাচ্ছে না।

বিষয়টি বিবেচনা করে গত ১৯ মে খাদ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে খাদ্য মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) পর্যালোচনা সভায় সারাদেশে ধান শুকানো, ক্লিনিং, ওজন করার সুবিধাসহ প্রতিটি ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার ২০০টি ধানের সাইলো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তাই জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের ধানের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ, জেলার মোট জনসংখ্যা, জেলার মোট ধান বা চালের চাহিদার পরিমাণ (বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুসারে), সংশ্লিষ্ট জেলায় খাদ্য অধিদফতরের বর্তমান ধারণক্ষমতা বর্তমান ধারণক্ষমতা, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ধানের সাইলো নির্মাণের জন্য ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পরিমাণ জমিসহ প্রস্তাবিত এলএসডি বা সিএসডির নাম খাদ্য অধিদফতরে পাঠাতে বলা হয়েছে চিঠিতে।

আরএমএম/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।