সিগারেট রেখে বিড়ি ধ্বংস মেনে নেয়া হবে না

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ২৬ মে ২০১৯

কুটির শিল্প ঘোষণা ও ভারতের মতো প্রতি হাজার বিড়িতে ১৪ টাকা কর আরোপসহ ৬ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন। রোববার সকাল ৯টায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা। মানববন্ধন শেষে এনবিআরের চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি দেন বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতারা।

ফেডারেশনের যুগ্ম-সম্পাদক হারিক হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সভাপতি এম কে বাঙালি, কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান প্রমুখ। মানববন্ধনে সারাদেশ থেকে হাজারেরও বেশি বিড়ি শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।

ফেডারেশনের সভাপতি এম কে বাঙালি বলেন, ‘দেশে ধূমপান থাকলে বিড়ি থাকবে। সিগারেট রেখে বিড়ি ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র কোনোভাবে মেনে নেয়া হবে না। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির ওপর কর বৃদ্ধির পাঁয়তারা করা হলে বিশ লক্ষাধিক বিড়ি শ্রমিক নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব।’ চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে বিড়ির ওপর কর কমানোর জন্য এনবিআর চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘শ্রমজীবী মানুষের একমাত্র আশ্রয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, এ বিষয়ে তিনি সুদৃষ্টি দেবেন বলে আশা করি।’

মানববন্ধনে সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, ‘গত ১৬ বছর ধরে বিড়ি শিল্প বৈষম্যের শিকার। এ কারণে এই শিল্পের শ্রমিক, কারখানা প্রতিনিয়ত কমে যাচ্ছে। অসহায় হয়ে পড়ছে লাখ লাখ শ্রমিক। বিশেষ করে নদী ভাঙন এলাকা, মঙ্গা অধিভুক্ত এলাকা যেখানে বেলে মাটিতে তামাক ছাড়া অন্য ফসল হয় না সেখানকার চাষী, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা নিদারুন দুশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছে। অথচ পাশের দেশ ভারত বিড়ি শিল্পকে সুরক্ষার জন্য কুটির শিল্প ঘোষণা দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশে বিড়ি বন্ধ করলে পাশের দেশ ভারত ও মিয়ানমার হতে চোরাচালানের মাধ্যমে বিড়ি ঢুকবে। এতে সরকার রাজস্ব হারাবে, বিড়ি শ্রমিকরা হারাবে তাদের দু-মুঠো ভাতের যোগাড়। অসহায় হয়ে পথে বসবে নিরীহ বিড়ি শ্রমিকরা।

Biri

মানববন্ধনে ছয় দফা দাবি তুলে ধরেন কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দীন বিএসসি। দাবিসমূহ হলো-

১. ভারতের মতো বিড়ি শিল্পকে কুটির শিল্প ঘোষণা করতে হবে।

২. চর, নদীভাঙন ও মঙ্গা অঞ্চলের বেকার মানুষের কর্মসংস্থানকে সহজ করার জন্য বিড়িকে করমুক্ত ঘোষণা করতে হবে।

৩. বিড়ি শ্রমিক সুরক্ষার আইন তৈরি করতে হবে।

৪. নিম্ন ও মধ্যম স্তরের সিগারেট একীভূত করে সমমূল্যে করতে হবে।

৫. উচ্চ স্তরের সিগারেটের মূল্য অধিকহারে বৃদ্ধি করতে হবে।

৬. বিড়ি শিল্পকে ধ্বংস করার পায়তারা বন্ধ করতে হবে।

এমআরএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।