ভূমি উন্নয়ন কর দেয় না স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাকি ৭৮ কোটি
সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানই ভূমি উন্নয়ন কর দেয় না। স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছেই ৭৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর বকেয়া।
সম্প্রতি এই টাকা চেয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মুনশী শাহাবুদ্দীন আহমেদ (সদ্য মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব হিসেবে বদলি হওয়া)।
কোনো জমি ভোগদখলের সুবিধা গ্রহণের জন্য সরকারকে প্রতি শতাংশ জমির জন্য বছরভিত্তিক যে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করতে হয় তাকেই ভূমি উন্নয়ন কর বলে। চিঠিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবের উদ্দেশে চেয়ারম্যান লিখেছেন, আপনি অবগত আছেন যে, ভূমি উন্নয়ন কর রাজস্ব আয়ের একটি অন্যতম উৎস। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ভূমি উন্নয়ন কর আদায় বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, আপনার মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কাছে ভূমি উন্নয়ন করের পাওনা ৭৮ কোটি ৭২ লাখ ৫৫ হাজার ৯০০ টাকা।
‘২০১৪ সালের ৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত সচিব সভায় প্রধানমন্ত্রী সচিবদের উদ্দেশে যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন সেখানে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন করের বিষয়টিও আলোচনা হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ২০১৪ সালের ১০ এপ্রিল আধা-সরকারি পত্রের প্রতি আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ভূমি উন্নয়ন কর বাবদ বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে পাওনা রয়েছে এবং বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা করা যায়। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলো তাদের বকেয়া অর্থের পরিমাণ নিজ নিজ বাজেটে প্রস্তাব করলে অর্থ বিভাগ মন্ত্রণালয় বা বিভাগগুলোর অনুকূলে সংশ্লিষ্ট অর্থ বরাদ্দ করতে পারে।’
ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান আরও লেখেন, উল্লেখ্য যে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের বিষয়ে ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর ভূমি মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের উপস্থিতিতে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের জন্য প্রতি বছরের বাজেটে ভূমি উন্নয়ন করের চাহিদা পাঠানোর জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানাতে বলা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে বকেয়া ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের বিষয়ে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের পদক্ষেপ নিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিবকে বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছেন ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান।
আরএমএম/আরএস/জেআইএম