ঈদযাত্রায় ভাড়া-টিকিট নৈরাজ্য বন্ধের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ এএম, ২৫ মে ২০১৯

ঈদযাত্রায় সড়ক, নৌ ও আকাশপথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য, রেলপথে টিকিট কালোবাজারি হচ্ছে দাবি করে তা বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আসন্ন ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ কর্মসূচিতে নিয়োজিত পর্যবেক্ষকদের গত কয়েকদিনব্যাপী নগরীর বিভিন্ন বাস কাউন্টার, লঞ্চ টার্মিনাল, রেল স্টেশন, বিমান বুকিং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর শনিবার (২৫ মে) সকালে এক পর্যালোচনা সভায় এই অভিযোগ করা হয়।

সভায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ঈদযাত্রায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য ও টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা না গেলে ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও পণ্যবাহী পরিবহনে নিম্ন আয়ের লোকজনের যাতায়াত কোনোভাবেই ঠেকানো যাবে না। এতে করে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়বে। গণপরিবহন সংকটের কারণে ও কম ভাড়ার আশায় নিম্ন আয়ের লোকজন ফিটনেসবিহীন যানবাহন, পণ্যবাহী যানবাহন, বাস-ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে বাধ্য হবে।

প্রতিবছরের ন্যায় এবারও বিআরটিএ ও বিআইডব্লিউটিএ এর মনিটরিং কমিটি গঠন করা হলেও ঈদযাত্রার যাত্রীসাধারণের বাস, লঞ্চ ও বিমানের টিকিট দ্বিগুণ কোনো কোনো ক্ষেত্রে তিনগুণ দামে কিনতে হচ্ছে। তবে বিআরটিএ ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ঢাকা-চট্টগ্রামে কয়েকটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারী নামি-দামি ব্রান্ডের বেশ কয়েকটি বাস কোম্পানিকে জরিমানা করলেও সারাদেশে দৃশ্যত তেমন কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। দেশব্যাপী সকল বাস, লঞ্চ ও অভ্যন্তরীণ বিমান পরিবহন কোম্পানিগুলোর ঈদযাত্রায় ভাড়া নৈরাজ্য প্রতিরোধে বিআরটিএ, ভোক্তা অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের মোবাইলকোর্টের মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবি জানান তিনি।

মোজাম্মেল হক চৌধুরী আরও বলেন, বিগত ঈদের চেয়ে এবার রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি ভালো, নৌ-পথে বেশ কয়েকটি নতুন লঞ্চ বহরে যুক্ত হয়েছে, রেলপথেও বেশ কয়েকটি ট্রেন সংযুক্ত হয়েছে। এবারের ঈদের লম্বা ছুটি সু-পরিকল্পিতভাবে কাজে লাগানো গেলে ভোগান্তি ও হয়রানি নিরসন করা সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদে সারাদেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথের যাত্রীসেবা পরিস্থিতি মনিটরিং কার্যক্রম শুরু করেছে যাত্রী অধিকার সংরক্ষণে কাজ করা এই সংগঠনটি। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে যাত্রীসাধারণের অভিযোগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে গণমাধ্যম ও সরকারের সংশ্লিষ্টদের কাছে তুলে ধরে ভোগান্তি ও হয়রানি নিরসনের লক্ষ্যে এই কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।

জেইউ/এমবিআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।