তাবিজ দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ


প্রকাশিত: ০৭:৪৭ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ঝালকাঠির সুগন্ধা বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন পৌর শ্মশানঘাট এলাকায় তাবিজ-কবজ দেয়ার নামে সহজ-সরল লোকদের কাছ থেকে প্রতারণা করে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর এ অভিযোগ উঠেছে ওই এলাকার ওঝা কবিরের বিরুদ্ধে।

অভিযোগে জানা গেছে, পূর্ব চাঁদকাঠি সুগন্ধা পৌর আদর্শ বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন সার্কিট হাউসের পিছনে গাঁজা পল্লীখ্যাত পৌর শ্মশানঘাট এলাকায় মেয়েদের বশ করে দেয়ার নামে তাবিজ-কবজের বিনিময়ে যুবকদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা। কোরআন শরীফের দোহাই দিয়ে কুফরী কালামের মাধ্যমে এ তাবিজ-কবজ দেয়া হয়। তিনি নিজেকে কায়েদ সাহেব হুজুরের মুরিদ দাবি করে এ প্রতারণা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসী জানায়, কবীর হোসেনের কাছে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজন আসে। আগন্তুক লোকদের মধ্যে বেশির ভাগই উঠতি বয়সী কিশোর ও যুবক। তাদের কাছ থেকে মেয়েদের বশ করাসহ সবকিছুই ঠিক করে দেয়ার নামে তাবিজ-কবজ দিয়ে টাকা নিচ্ছে।
 
এ বিষয়ে ওঝা কবির হোসেন তাবিজ-কবজ দিয়ে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে আত্মপক্ষ সমর্থন করে বলেন, আমি কুফরী কালাম দিয়ে আগে কাজ করতাম। ২০০৭ সালে কায়েদ সাহেব হুজুরের মুরিদ হয়েছি। কায়েদ সাহেব হুজুরের ইন্তেকালের পর আমি স্ট্রোক করায় তার মাজার জিয়ারত করে শপথ করেছি কুফরী কালাম আর ব্যবহার করবো না।

তিনি আরো বলেন, আমার দ্বারা যদি কারো ক্ষতি হয় এবং সেটা যদি কেউ প্রমাণ করতে পারে তাহলে আমার কাজের জন্য কোরআন শরীফ এবং যে সকল পুস্তক আছে তা আগুনে পুড়িয়ে ফেলবো। এরপর বিচার যা হয় তা মেনে নেবো। শত্রুতার জের ধরে আমার নামে এক পক্ষ মিথ্যা অভিযোগ করছে।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।