চিরচেনা রূপে কমলাপুরে টিকিট বিক্রি শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ এএম, ২২ মে ২০১৯

মধ্যরাত বা ভোররাত থেকে দীর্ঘ সময় ধরে কাউন্টারের সামনে মানুষের অপেক্ষা কাঙ্ক্ষিত দিনের টিকিটের। হট্টগোল। কাউন্টারের ধীরগতি। টিকিট প্রত্যাশী মানুষের দীর্ঘলাইন, এঁকেবেঁকে চল গেছে পেছনের দিকে। সবমিলিয়ে প্রতিবারের মতো চিরচেনা রূপ নিয়ে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে কমলাপুরে। তবে অন্যান্য বারের তুলনায় কমলাপুর স্টেশনে টিকিট প্রত্যাশী যাত্রীদের ভিড় কিছুটা কম, কারণ শুধু যমুনা সেতু দিয়ে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কমলাপুরে।

প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার বাঙালির ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। তাই তো শত বাঁধা, ভোগান্তি, বিড়ম্বনা উপেক্ষা করে প্রতি ঈদেই নাড়ির টানে বাড়ি ফেরে রাজধানীবাসী। এ জন্য অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ থেকে শুরু করে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত মানুষকে পোহাতে হয় নানা ভোগান্তি-বিড়াম্বনা। শত ভোগান্তি উপেক্ষা করেই সবাই ছুটে নাড়ির টানে।

প্রতিবছরই তাই ঈদের অগ্রিম টিকিট সংগ্রহ করতে কমলাপুরে থাকে মানুষের স্রোত।

kamlapur-

বুধবার সকাল ৯টা থেকে কমলাপুরে শুরু হয়েছে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি। আজ দেয়া হচ্ছে ৩১ মের টিকিট। এই দিনের টিকিট পেতে কমলাপুরে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি কাউন্টারের সামনে থেকে টিকিট প্রত্যাশী মানুষের দীর্ঘলাইন ঠেকেছে স্টেশনের বাইরের দিকে। নারীদের জন্য রয়েছে আলাদা কাউন্টার।

আজ রাজধানীর পাঁচ জায়গায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। চলবে ২৬ মে পর্যন্ত। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ (২২ মে) বিক্রি হচ্ছে ৩১ মের টিকিট। ২৩ মে যারা টিকিট সংগ্রহ করবেন তারা ১ জুন, যারা ২৪ মে সংগ্রহ করবেন তারা ২ জুন, যারা ২৫ মে সংগ্রহ করবেন তারা ৩ জুন, যারা ২৬ মে সংগ্রহ করবেন তারা পাবেন ৪ জুনের টিকিট।

যাত্রীদের সুবিধার্থে এবার যমুনা সেতু দিয়ে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে কমলাপুরে। চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট মিলছে বিমানবন্দর স্টেশনে।

kamlapur

ময়মনসিংহ ও জামালপুরগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট অগ্রিম সংগ্রহ করা যাচ্ছে তেজগাঁও রেলস্টেশন থেকে। নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট পাওয়া যাচ্ছে বনানী স্টেশন থেকে।

এ ছাড়া সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে হবে ফুলবাড়িয়া (পুরনো রেলভবন) থেকে।

উল্লেখ্য, একজন যাত্রী চারটির বেশি টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন না। ঈদের অগ্রিম বিক্রিত টিকিট ফেরত নেয়া হবে না। জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে হবে। যাত্রীরা ৫০ শতাংশ টিকিট অনলাইনে অ্যাপের মাধ্যমে কিনতে পারবেন। স্টেশন কাউন্টার থেকে ৫০ শতাংশ টিকিট অগ্রিম কিনতে পারবেন। অনলাইনে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি না হলে অবিক্রিত টিকিট কাউন্টার থেকে দেয়া হবে। এদিকে রেলের ফিরতি টিকিট বিক্রি ২৯ মে শুরু হয়ে ২ জুন পর্যন্ত চলবে।

এএস/জেডএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।