নগরবাসী সচেতন হলে ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:৫৬ পিএম, ২১ মে ২০১৯

ঢাকাকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া মুক্ত করতে সবার সহযোগিতা কামনা করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেছেন, যেসব মশার কামড়ে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া হয় সেসব মশা আমাদের ঘরেই জন্ম নিচ্ছে। এদেরকে আমাদেরই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। না হয় আমাদের পরিবার-পরিজনদের এর মাশুল দিতে হতে পারে। নগরবাসী সচেতন হলে রাজধানীতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

মঙ্গলবার ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এ অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ আয়োজনে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, সুস্থভাবে বাঁচতে হলে নগরবাসীকে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগের জীবাণুবাহী এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ‘টেস্ট কিটর্স’ সহজ করার জন্য ডিএনসিসির ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কার্যালয় কিংবা নির্ধারিত আরবান চিকিৎসা কেন্দ্র চালু করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

সভায় বক্তারা বলেন, এডিস মশা সাধারণত বাসাবাড়িতে ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজ, এসিতে জমে থাকা পানিতে জন্মায়। এসব পরিষ্কারে নগরের প্রত্যেক নাগরিককে সচেতন হতে হবে। নিজ বাড়ির আঙিনা ও চারপাশও পরিষ্কার রাখতে হবে। তাহলে মশা জন্মাবে না। মশার ওষুধ ছিটানোর পাশাপাশি ঘুমানোর সময় মশারি টানাতে হবে। সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগের পাশাপাশি এ ব্যাপারে নাগরিক সচেতনতার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তের ক্ষেত্রে জরুরি স্বাস্থ্যসেবা ও পরামর্শ পেতে ০১৭৮৭৬৯১৩৭০ নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানানো হয়।

ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা গুল্লাহ সিংয়ের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মেডিকেল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান, ডিএনসিসির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ইমদাদুল হকসহ ওয়ার্ড কাউন্সিল ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের স্টেক হোল্ডাররা।

এএস/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।