ভূমধ্যসাগরে প্রাণে বেঁচে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন

কূটনৈতিক প্রতিবেদক কূটনৈতিক প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩২ এএম, ২১ মে ২০১৯

লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার পথে তিউনিসিয়ার উপকূলবর্তী ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবির ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ১৫ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। আজ ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে টার্কিশ এয়ারলাইন্সের টিকে-৭১২ বিমানযোগে দেশে পৌঁছান তারা।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

লিবিয়ার ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানায়, লিবিয়া হয়ে দুটি নৌকায় ইতালি যেতে চেয়েছিলেন অভিবাসী প্রত্যাশীরা। একটি নৌকায় প্রায় ৫০ এবং অন্যটিতে ৭০ জন যাত্রী ছিল। ওই দুটি নৌকা গত ৯ মে রাতে একই সময়ে যাত্রা শুরু করে। তবে একটি নৌকা নিরাপদে ইতালি পৌঁছালেও অন্যটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।

ত্রিপোলির বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর এ এস এম আশরাফুল ইসলাম বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৪ বাংলাদেশিকে জীবিত এবং এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। নিহত ব্যক্তির নাম উত্তম কুমার। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়ায়।

এর আগে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় কতজন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য পাননি জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে, উদ্ধার হওয়া ১৪ জনের সবাই বাংলাদেশি। এ ছাড়া নিহতদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি সে বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য নেই। যেহেতু ৩৭ জনকে পাওয়া যাচ্ছে না, সেক্ষেত্রে ৩০ থেকে ৩৫ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সোমবার (১৪ মে) রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নৌকাডুবির নিহত ঘটনায় ২৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে বলে জানানো হয়।

বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন (আরএফএল) বিভাগে দায়িত্বরত পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার বলেন, তিউনিসিয়া রেড ক্রিসেন্টের আঞ্চলিক প্রধান মাঙ্গি স্লিমের মাধ্যমে উদ্ধার হওয়া চার বাংলাদেশির সঙ্গে কথা বলে নিহত ২৭ বাংলাদেশির পরিচয়ের বিষয়ে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। তবে মরদেহ না পাওয়ায় তাদের নাম এখনও নিখোঁজ ব্যক্তিদের তালিকায় রাখা হয়েছে।

জেপি/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।