প্রাণহানি হলে যদি নজর পড়ে কর্তৃপক্ষের


প্রকাশিত: ০৪:২৬ এএম, ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫

তানোর সদরের একমাত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন থেকে সুনামের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। তবে বর্তমানে বিদ্যালয়ের মাটির ঘরগুলো ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে। ফলে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করছেন শিক্ষার্থীরা।

কিন্তু বিগত সময়ে লাখ লাখ টাকা আয় করা হলেও বিদ্যালয়ের দিকে নজর পড়েনি কর্তৃপক্ষের। একটু ঝড় বৃষ্টি হলেই শুরু হয় মাটির ঘরে পাঠদানকৃত শিক্ষার্থীদের দৌড় ঝাঁপ। কারণ যেকোনো সময় মাটির ঘরগুলো ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, টানা বৃষ্টিতে মাটির ঘরগুলো একেবারেই হেলে পড়েছে। এ অবস্থায় বাঁশের খুঁটি দেওয়া হয়েছে ঘরগুলোতে। এভাবেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বছরের পর বছর ধরে ক্লাস করে আসছে স্কুলের অন্তত ২৭৫ জন শিক্ষার্থী। বিদ্যালয়ে মাটির ঘরগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় দিন দিন শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কমতে শুরু করেছে। এতে করে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে শিক্ষক ও বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ১৯৮৫ সালে তানোর পৌর সদরের মজির উদ্দীন চেয়ারম্যানের নিজস্ব জমিতে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার পর থেকে উন্নয়ন বলতে ১৯৯৩ সালে তিন কক্ষ বিশিষ্ট এক তলা পাকা ভবন। আর প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে ছয়টি মাটির ঘর রয়েছে। ফলে বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। তবে, এলাকাবাসী অতি দ্রুত ঘরগুলো মেরামত করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস রুমের সঙ্কট দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

এ ব্যাপারে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মনিসা, জিন্নাতন ও দশম শ্রেণির নাহিদা, হীরা, ডালিয়াসহ অনেকেই জাগো নিউজকে জানান, এই ডিজিটাল সময়ে তাদের ক্লাস রুমগুলো বাঁশের খুঁটি দিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়তে পারে। কোন শিক্ষার্থীর প্রাণহানি হলে যদি  নজর পড়ে কর্তৃপক্ষের।

তবে, তানোর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাইদুর রহমান জাগো নিউজকে  জানান, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে পরামর্শক্রমে একের পর এক স্কুল সংস্কারের কাজে হাত দিয়েছেন। আগামীতে মাটির ঘরগুলো মেরামত করা হবে। আগামীতে বিদ্যালয়টির অনেক সংস্কার করা হবে বলে জানান তিনি।
   
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ প্রদীপ সরকার জাগো নিউজকে জানান, স্থানীয় সাংসদের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সরাসরি গিয়ে একাডেমিক ভবনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরের মধ্যেই বরাদ্দ পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে শিক্ষার্থীদের যেন ক্লাস রুমের কোনো সমস্যা না হয় সেজন্য বিকল্প পদ্ধতি হাতে নেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমিরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, তিনি  ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে যেভাবেই হোক দ্রুত ঝুঁকিপূর্ণ রুমগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

শাহরিয়ার অনতু/এমজেড/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।