লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ধান ক্রয়ের সুপারিশ

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:২৪ পিএম, ২০ মে ২০১৯

সরকারের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দেড় লাখ টন ধানের চেয়ে আরও বেশি ধান কেনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। এছাড়া সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার সুপারিশ করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

সারাদেশে ধানের দাম নিয়ে কৃষকদের হতাশার মাঝে সোমবার (২০ মে) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে সদস্য ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, ধীরেন্দ্র দেবনাথ শমভু, মো. আয়েন উদ্দিন এবং আতাউর রহমান খান অংশ নেন।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘এবার ধান উৎপাদন বেশি হয়েছে। আমরা এ জন্য সরকারকে বলেছি, দেড় লাখ টন ধান কেনার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তার চেয়ে যেন বেশি কেনা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘কমিটি ভর্তুকি দিয়ে হলেও চাল রফতানি করার সুপারিশ করেছে। এছাড়া কমিটি সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনার জন্য বলেছে, যাতে মধ্যস্বত্বভোগীরা কোনো সুযাগ না পায়।’

কমিটির সদস্য খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, সংসদীয় কমিটির সুপারিশ বিবেচনা করবে মন্ত্রণালয়। সারাদেশে ২০০টি ৫ হাজার টন ধারণক্ষমতার ‘প্যাডি সাইলো’ নির্মাণ করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ১৪ শতাংশ আর্দ্রতাসম্পন্ন ধান কিনছে। যে কারণে অনেক কৃষককে বাধ্য হয়ে চাতাল মালিকদের কাছে কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। প্যাডি সাইলো নির্মাণ করা হলে কৃষক সেখানে নিজের ধান শুকিয়ে বিক্রি করতে পারবে। আগামী এক মাসের মধ্যে এ প্রকল্পের জন্য ডিপিপি প্রণয়ন করা হবে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ধান যাতে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে কেনা হয় তা তদারকির জন্য ২০টি মনিটরিং টিম কাজ করবে। তারা কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবে।

এছাড়া বৈঠকে খাদ্যে ভেজাল প্রতিরোধে অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে লোকবল বৃদ্ধি এবং প্রতিটি জেলায় এর কার্যক্রম সম্প্রসারণের বিষয়েও কমিটির বৈঠকে সুপারিশ করা হয়।

এইচএস/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।