পদ্মা সেতুর সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ ভাগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৬:৩১ পিএম, ২০ মে ২০১৯

> নদীতে ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টির কাজ শেষ
> ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টির কাজ শেষ হয়েছে
> মূল সেতুর অগ্রগতি ৭৬ ভাগ

পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ ভাগ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২০ মে) রাজধানীর বনানী সেতু বিভাগের আওতাধীন চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ক সভা ও গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান। একই সঙ্গে আগামী ২১ অথবা ২২ মে পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যান বসানো হবে বলে জানান তিনি।

সেতুমন্ত্রী জানান, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের মূল সেতুর অগ্রগতি ৭৬ ভাগ, নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ ভাগ, সংযোগ সড়কের অগ্রগতি ১০০ ভাগ এবং প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৬৭ ভাগ।

মন্ত্রী বলেন, মূল সেতুর নদীর মধ্যে ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টির কাজ শেষ হয়েছে এবং অবশিষ্ট ২৬টি পাইলের কাজ জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হবে। মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টির কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন হয়েছে, জুন মাসের মধ্যে আরও ৬টি পিলারের কাজ শেষ হবে এবং বাকি ১১টির কাজ চলমান। মোট স্প্যান ৪১টি।

তিনি আরও বলেন, মাওয়ার পাশে এখন পর্যন্ত ট্রাস (স্প্যান) এসেছে ২৩টি, যার মধ্যে ১২টি স্থাপন করা হয়েছে। ফলে এখন ১৮শ’ মিটার দৃশ্যমান। আগামীকাল (২১ মে, মঙ্গলবার) অথবা ২২ মে (বুধবার) ১৩তম স্প্যান স্থাপন করা হবে। এছাড়াও অবশিষ্ট স্প্যানগুলোর কাজ চীনে প্রায় শেষ পর্যায়ে। মাওয়া ও জাজিরা ভায়া ডাক্টের পাইলিং এবং পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে পিলার ক্যাপ এবং গার্ডার স্থাপনের কাজ চলছে। মোট ১৩ কিলোমিটার নদীশাসন কাজের মধ্যে ৩ কিলোমিটার সম্পূর্ণ হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৪ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী টানেল বোরিং মেশিনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বহুলেন সড়ক টানেল নির্মাণ প্রকল্পের খননকাজের উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে প্রতিটি ২ মিটার দৈর্ঘ্যের ৮০টি টানেল রিং বসানোর কাজ অর্থাৎ ১৬০ মিটার টানেল খননকাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৩০ এপ্রিল ২০১৯ পর্যন্ত সার্বিক অগ্রগতি শতকরা ৩৮ ভাগ। ২০২২ সালে টানেলটির নির্মাণকাজ শেষ হবে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পের ভৌত কাজে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৩৩৩টি পাইল, ৩০০টি পাইলক্যাপ, ৭৯টি ক্রস-বিম, কলাম ১৮৭ (সম্পূর্ণ) ও ১১৯টি (আংশিক), ১৮৬টি আই গার্ডার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ১ম ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়েছে এবং ২য় ও ৩য় ধাপের ক্ষতিপূরণ প্রদান চলমান। এছাড়াও ১৪টি স্প্যান আই গার্ডার স্থাপন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

ঢাকা শহরে সাবওয়ে (আন্ডারগ্রাউন্ড মেট্রো) নির্মাণে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা কাজের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান (টিওয়াইপিএসএ) ইনসেপশেন রিপোর্ট দাখিল করেছে এবং জুন ২০১৯ এর মধ্যে ইন্টারিম রিপোর্ট দাখিল করবে। ডিসেম্বর ২০২০ নাগাদ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হবে।

এছাড়া গাইবান্ধা এবং জামালপুর জেলার সংযোগকারী যমুনা নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। উক্ত সমীক্ষার জন্য বৈদেশিক অর্থ সংস্থানের লক্ষ্যে পিডিপিপি নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে। বৈদেশিক অর্থায়ন নিশ্চিত সাপেক্ষে যথাসময়ে সমীক্ষা শুরুর আশা প্রকাশ করেন সেতুমন্ত্রী।

এ সময় সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালকসহ সেতু বিভাগের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এইউএ/আরএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।