৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১০ এএম, ১৭ মে ২০১৯
ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শুক্রবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ৬টায়। রাজধানীর কল্যাণপুর, শ্যামলী, গাবতলী, মহাখালী ও আসাদগেট বাস কাউন্টারে দেয়া হচ্ছে অগ্রিম টিকিট।

টিকিট প্রত্যাশী ও কাউন্টার কর্তৃপক্ষ বলছেন, এবার ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।

একাধিক বাস কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, এবার ৩০ মে পড়ছে বৃহস্পতিবার। ওই দিন রাতে টিকিটের জন্য চাপ অনেক বেশি। পরদিন শুক্রবার সকালের টিপেও রয়েছে প্রেসার। এরপর ৩ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি। আবার কোনো কোনো কাউন্টারে ৩ জুনের টিকিট শেষ বলেও জানানো হয়েছে। এনিয়ে টিকিট প্রত্যাশীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

কল্যাণপুরে শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার আলমগীর কবীর বলেন, প্রত্যেকবারই বিশেষ ২/১ দিনের টিকিটের চাপ বেশি থাকে। এবারও তাই। ৩০ তারিখ বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন ছুটি। এরপর আবার ২৭ রমজান। তারপর একদিন ফাঁকা। এরপর আবার ছুটি। বিশেষ করে সরকারি চাকরিজীবিরা ৩০ মে’র টিকিট বেশি কিনছেন। ৩ তারিখে বেসরকারি চাকরিজীবীদের প্রেসার বেশি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যাত্রীদের কাঙ্ক্ষিত টিকিট দিতে। তবে সবাই ৩০ মে ও ৩ জুনের টিকিট চাইলে তো দেয়া সম্ভব নয়।

tiket

অন্যদিকে তিন ঘণ্টা পেরুতেই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাবতলী হানিফ পরিবহন কাউন্টার থেকে জানানো হয়, ৩ জুনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। এ নিয়ে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন টিকিট প্রত্যাশীরা।

হানিফ পরিবহনের জেনারেল ম্যানেজার মোশারফ হোসেন বলেন, সকাল থেকেই যারা লাইনে দাঁড়িয়েছেন, তাদের ৯০ শতাংশের চাহিদা ৩ তারিখের টিকিট লাগবে। এক যাত্রী একাধিক টিকিট কিনছেন। যে কারণে দ্রুতই ওই দিনের সব রুটের টিকিট শেষ হয়ে গেছে।

তবে আশার কথা শুনিয়ে তিনি বলেন, প্রতি বছরই চাহিদা বিবেচনায় স্পেশাল সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়। যাতে নিয়মিত যাত্রীরা বিরাগভাজন না হন। আর ওই স্পেশাল সার্ভিসের টিকিট আরও ৩-৪ দিন পর বিক্রি শুরু হবে।

tiket

হানিফ কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে টিকিট কেনার পরও হতাশা প্রকাশ করে রেজাউল নামে যাত্রী বলেন, ‘সেহেরির পর লাইনে দাঁড়াইছি। টিকিট পেয়েছি কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মানের সিট পাইনি। খেয়াল করে দেখছি প্রায় সবাইকেই জি-১, ২, ৩, ৪ থেকে শুরু করে পেছনের টিকিট দেয়া হচ্ছে। লাইনের সামনের দিকে কয়েকজনের মধ্যে আমিও ছিলাম। এরপরও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাইনি। বলে কিনা সামনের টিকিট শেষ। এতো দ্রুত টিকিট শেষ হবে অবিশ্বাস্য।’

টিকিট না পেয়ে প্রতিবছরই এসআর ট্রাভেলস ও আলহামরা পরিবহনের কাউন্টারে হট্টগোল বাধে। এবারও কাউন্টার দুটির সামনে লম্বা লাইন দেখা গেছে। সেখানে কথা হয় গাইবান্ধা রুটের যাত্রী নাদিম মাহমুদের সঙ্গে।

তিনি বলেন, ছয়টি টিকিট দরকার ৩০ মে ও ২ জুনের। কিন্তু সামনে যা অবস্থা মনে হয় না টিকিট পাবো। টিকিট পেলেও তা কাঙ্ক্ষিত হওয়ার সম্ভবও না।

জেইউ/এএইচ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।