ঈদে সাত দিন বন্ধ থাকবে পণ্যবাহী গাড়ি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ১৬ মে ২০১৯

নৌপরিবহনমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, ঈদের আগে তিন দিন, ঈদের দিন ও ঈদের পরের তিন দিন পণ্যবাহী ট্রাক, লরি কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর নিজ কক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

খালিদ মাহমুদ বলেন, আসন্ন ঈদের পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আমরা ৩০ এপ্রিল একটি সভা করেছি। সভায় জেলা প্রশাসক, উপজেলা প্রশাসক, বিআরটিএ, বিআরডব্লিইউটিএ'র কর্মকর্তাসহ নৌপরিবহন শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় একটি সমন্বয় কমিটি করে দেয়া হয়েছে। আমরা যে সিন্ধান্ত নিয়েছি, তা কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে সে বিষয়ে কমিটি সারাক্ষণ মিনিটরিং করবে।

তিনি বলেন, ইতঃপূর্বে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছি। যাতে ঈদের সময় যাত্রীদের বাড়তি চাপ সামলাতে লঞ্চঘাটগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ছাড়া লঞ্চমালিকরা আমাদের আশস্ত করেছেন ঈদের সময় তারা অতিরিক্ত যাত্রী নেবেন না।

mahmud

‘ঈদের আগে ও পড়ে মোট সাতদিন মালবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। আমরা একটি আনন্দপূর্ণ ঈদ উদযাপন করতে চাই।

দখল হওয়া নদী উদ্ধারের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেসব নদী দখলমুক্ত করা হয়েছে সেসব স্থান পুনরায় দখল করলে তারা ভুল করবে। কারণ, আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে, সারা বছর চলবে। এখন রমজান উপলক্ষে বন্ধ আছে। ঈদ শেষ হলে আবার শুরু হবে। এ ছাড়া ঢাকার আশপাশেন নৌরুটগুলো উদ্ধার ও চলাচলের উপযোগী করতে একটি মাস্টারপ্লান নেয়া হয়েছে। প্লানটি দুই বছর, তিন বছর ও পাঁচ বছর মেয়াদি হবে।

তিনি বলেন, নৌখাতে সক্ষমতা দিন দিন বাড়ছে। আমরা পানগাঁও বন্দর, পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দর করেছি। বন্দরগুলোতে কন্টেইনারজট কমেছে। নদীগুলো ড্রেজিং হচ্ছে। ফলে নদীগুলোর ধারণক্ষমতা বেড়েছে। আমরা নির্বচনী ইশতেহার অনুযায়ী ১০ হাজার কিলোমিটার নৌপথ নির্মাণ করতে চাই। পাশাপাশি রিজিওনাল কানেকটিভিটিকে আরও গতিশীল করতে কাজ করছি।

এমইউএইচ/জেডএ/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।