ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হচ্ছে সেই শিশুকে
শিশু হাসপাতালের বাথরুমে পাওয়া সেই শিশুকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) আজিমপুর ছোটমণি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানো হবে বলে নিশ্চিত করেছেন শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ।
হাসপাতাল ও শেরেবাংলা নগর থানা সূত্রে জানা গেছে, তিন দিন আগে শিশু হাসপাতালের বাথরুমে কুড়িয়ে পাওয়া শিশুটিকে দত্তক নিতে বিভিন্ন মহল থেকে তদবির শুরু হয়। তারা সকলেই বাচ্চাটিকে নিতে চান। কিন্তু আইনগত জটিলতায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাচ্চাটি কাউকে দিতে পারছে না।
শিশু হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ফরিদ আহমেদ বৃহস্পতিবার জাগো নিউজকে বলেন, বাথরুমে পাওয়া শিশুটি বর্তমানে সুস্থ। তাকে সমাজকল্যাণ অধিদফতরের অধিনস্থ আজিমপুর ছোটমণি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
তিনি আরও বলেন, তিনদিন ধরে শিশুটিকে হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার রাসেল ও তার স্ত্রী লালন-পালন করছেন। তাদের সেবা-যত্নে শিশুটি সুস্থ। তারা বাচ্চাটি দত্তক নিতে চান। পাশাপাশি শিশুটির দায়িত্ব নিতে বৃত্তবান ও প্রভাশালীরা ছুটে আসছেন। যেহেতু শিশুটি হস্তান্তরে আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে তাই আমাদের পক্ষে হস্তান্তর করা সম্ভব নয়। এটি সমাজকল্যাণ অধিদফতরের অধীনে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
সমাজকল্যাণ অধিদফতরের কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান, বর্তমানে শিশুটিকে ছোটমণি নিবাস কেন্দ্রে পাঠানো হবে। তারপর একজন ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পারিবারিক আদালত বসিয়ে কাকে দত্তক দেয়া হবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, গত তিনদিনে বিভিন্ন মহল থেকে শিশুটিকে দত্তক নিতে শতাধিক মানুষ আবেদন করেছে। আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যোগ্য ব্যক্তির কাছে শিশুটিকে তুলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিশুটি দত্তক নেয়ার তালিকায় প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমামের ছোট ছেলে ফারুক, সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ শিশুটিকে নিতে ছুটে আসছেন। তারা শিশুটির নামে বিপুল অর্থ, বাড়ি, ফ্ল্যাট লিখে দিয়ে দত্তক নিতে সমাজসেবা অধিদফতরে আবেদন করেছেন।
এদিকে বৃহস্পতিবার শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, গত তিনদিন আগে এ হাসপাতালের ওয়ার্ডমাস্টার রাসেল ও তার স্ত্রী পলি শিশু হাসপাতালের ৩০১নং কেবিন ভাড়া করে শিশুটির লালন-পালন করছেন। এ দম্পতি শিশুটিকে স্থায়ীভাবে পেতে চান।
ওয়ার্ডমাস্টার রাসেল জাগো নিউজকে বলেন, গত সাত বছর আগে বিয়ে করেছি। আমাদের কোনো সন্তান নেই। তাই আমি শিশুটি দত্তক নিতে চাই।
এমএইচএম/এএইচ/আরআইপি