আইআরআই-এর রিপোর্ট সাংঘর্ষিক ও স্ববিরোধী
বিএনপির মুখপাত্র ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, সম্প্রতি মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) বাংলাদেশকে নিয়ে যে জনমত জরিপ প্রকাশ করছে তা সাংঘর্ষিক ও স্ববিরোধী। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এর ফলে রাজনীতিতে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আশার বিষয় হচ্ছে এই জরিপের মাধ্যমে দেশের জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে দ্রুত নির্বাচন চায়, সেটি আবারো প্রমাণিত হল।
জরিপের ফলাফলের বিষয়ে রিপন বলেন, যদি সুষ্ঠুভাবে এ ধরনের জরিপ করা হয় তবে এর মাধ্যমে জনমতের সঠিক প্রতিফলন ঘটে। তারপরেও আমরা বলছি এই জনমত জরিপে মাত্র ২৫৫০ জন অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু এই জরিপের অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে দেশের জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায় কি না, জনগণ তত্ত্বাবধায়কের পক্ষে কি না, দেশ কেমন চলছে এসব বিষয়ে কয়েকটি প্রশ্ন ছিল।
আর অন্য একটি প্রশ্ন ছিল প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা কতটুকু ও ক্ষমতাসীনদের প্রতি জনগণের আস্থা কেমন?
যেখানে জরিপে ৬৭ শতাংশ মত এসেছে তত্ত্বাবধায়কের মাধ্যমে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে সেখানে বর্তমান সরকার যখন এই ব্যবস্থা বাতিল করছে সেখানে কিভাবে তাদের জনপ্রিয়তা বাড়তে পারে প্রশ্ন রাখেন রিপন। একইভাবে জরিপের তথ্যানুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তা বেড়েছে একথাও বলা যায় না যোগ করেন তিনি। এ কারণেই আমরা বলছি, আইআরআই বাংলাদেশকে নিয়ে যে জনমত জরিপ প্রকাশ করছে তা সাংঘর্ষিক ও স্ববিরোধী।
তিনি আরো বলেন, সরকার যদি এই জরিপকে ধারণ করেন তাহলে সরকারকে বলব তার যেন দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের জনপ্রিয়তার প্রকৃত পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ নেবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমেই তাদের জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দিতে পারবেন।
বিএনপির এই মুখপাত্র আরো বলেন, এই জরিপের সময়সীমা ছিল মে থেকে জুন পর্যন্ত। আর সরকার সম্প্রতি গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে যে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করছে তার পরে এই জরিপ করলে প্রকৃত অবস্থা বোঝা যেত।
এই জরিপের ফলে দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে কোনো নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া পড়বে কি না? এক প্রশ্নের জবাবে রিপন বলেন, আমাদের দলের নেতা-কর্মীরা বিশ্বাসী। এই জরিপের ফলে তাদের মাঝে এ ধরনের কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। এমনকি দেশের সাধারণ জনগণও এর দ্বারা প্রভাবিত হওয়ার সুযোগ নেই।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার জিয়াউর রহমান খান, গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সানা উল্লাহ মিয়া, পরিবেশ ও জলবায়ু বিষয়ক সম্পাদক আফজাল এইচ খান, সহ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোরশেদ মিয়া আলম, সাবেক সাংসদ শাম্মী আখতার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এমএম/এসএইচএস/পিআর